• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেসি বললেন বিশ্বকাপে অন্য আর্জেন্টিনাকে দেখবেন


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ১১, ২০১৭, ০৬:০৫ পিএম
মেসি বললেন বিশ্বকাপে অন্য আর্জেন্টিনাকে দেখবেন

ঢাকা: ইকুয়েডর ম্যাচের আগে কোচ হোর্হে সাম্পাওলি খুব করে চেয়েছিলেন বার্সার মেসি ফিরে আসুক আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে। তাঁর চাওয়াটাই সত্যি হয়েছে। এদিন বার্সার মেসিকেই দেখা গেছে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে! কিন্তু তাঁকে নিয়ে এই যে অপবাদ ক্লাবে যেরকম খেলেন আর্জেন্টিনার হয়ে সেরকম খেলতে পারেন না! 

এই কথাটার সত্যতা কতটুকু? আসলে মেসি এই গ্রহের এমন একজন ফুটবলার যার কাছে সবসময়ই প্রত্যাশাটা ছিল আকাশচুম্বি। ২০১৪ বিশ্বকাপের কথাই ভাবুন। কি দুর্দান্ত খেলেছে আর্জেন্টিনা!কি দুর্দান্ত খেলেছেন মেসি! অনেকে বলেন মেসির মনে দেশ নেই, তাঁর দেশপ্রেম নেই! এসব যে স্রেফ বলার জন্য বলা এটা বুঝতে ফুটবল বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। 

অনেকে হয়তো ইকুয়েডর ম্যাচটিকে বহুদিন মনে রাখবেন। কিন্তু এর আগেও তো অসংখ্যবার আর্জেন্টিনার জার্সিতে তাঁর পায়ের জাদু দেখা গেছে। সেটা কজনই মনে রাখেন। ওই যে মেসির প্রতি ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা এত বেশি, মনে হয় তাকে প্রতি ম্যাচেই গোল করতে হবে! কিন্তু সেটি তো আর হওয়ার নয়। এমনও দেখা গেছে, কোনো ম্যাচে মেসি গোল পাননি, সে ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন বার্সা ফরোয়ার্ড। সেটি কেউ মনেই রাখতে চাইবেন না! তাদের প্রশ্ন একটাই মেসি কেন গোল করতে পারলেন না।  

কিন্তু মেসিও তো মানুষ। তাঁর দেশপ্রেম আছে। আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসেন। অথচ সর্বস্ব উজার করেও, সব পাওয়া হচ্ছিল না। কোথায় যেন আটকে যাচ্ছিল। আর ওই মানুষগুলো  হাসছিল অট্টহাসি! যেন ব্যর্থ হয়েছে বলেই সুখ। যেন চোখের জলে ভেসেছে বলেই শান্তি। যেন ক্ষত–বিক্ষত দেখতে পেলেই উল্লাস! অবশেষে সেই সব না পাওয়া, পাওয়ায় পরিণত হলো বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে। 

ইকুয়েডরে তখন কয়টা বাজে জেনে কি লাভ? গ্রিনিজ টাইম না, আসলে তখন যেন মেসি–টাইম শুরু হয়েছে! আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের টিকিটটা এনে দিতে পেরে তিনিও কতটা স্বস্তি পেয়েছেন, পরিষ্কার হয়ে গেল মেসির কথাতেই। ২০১৬–এর নভেম্বরের পর থেকে মেসি ও তাঁর সতীর্থরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেননি। এদিন মেসি বললেন প্রাণ খুলে, ‘ইকুয়েডরে খেলতে আসার আগে সবসময় ভয় কাজ করে। কিন্তু আমরা ভাগ্যবান। তাই ঠিক সময়ে জ্বলে উঠেছি। আমরা ধির ছিলাম, স্থির ছিলাম। আমরা গোল করেছি। যে গোলের লক্ষ্যটা নিয়েই এসেছিলাম এখানে। বলতে পারেন, কাজের কাজটা করতে পেরেছি।’

এটুকু বলার পর কয়েক সেকেন্ডের বিরতি। তারপর? মেসির মনের একেবারে ভেতরের কথাটা বেরিয়ে এলো, ‘বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা নেই? তেমনটা হলে, পাগলামি বলতে হত। এই দলের ক্ষমতা আছে বিশ্বকাপে খেলার। আমরা তিন–তিনটা বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার পরও সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে! জানেন, আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে, সাধারণ মানুষের থেকে ইচ্ছা করেই দূরে ছিলাম। এই দূরত্বটাই আমাদের মানে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের কাছাকাছি এনেছে। 

তিনি বলেন, বিশ্বাস করি, এভাবে হাতে–হাত রেখে যদি এগোতে পারি, তা হলে আমাদের সব কাজ সহজ হয়ে যাবে। দুটো কোপা আমেরিকা আর বিশ্বকাপ ফাইনালে আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা একেবারেই ঠিক হয়নি। আশা রাখছি, এবার আমরা অন্তত কাপটা হাতে নিতে পারব। নিজেদের জন্যই ওই কাপটা হাতে নিতে চাই। বাছাই পর্বটা উপভোগ করেছি। আমাদের দল প্রতিদিন তৈরি হবে। প্রতিদিন বড় হবে। দলটা বদলাবেই। বিশ্বকাপে অন্য এক আর্জেন্টিনাকে দেখবেন। এই আর্জেন্টিনা আরো উন্নত হবে।’ 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!