• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেসিকে বিশ্বকাপ জেতার তাগিদ পুয়োল-ক্লিন্সম্যানের


ক্রীড়া ডেস্ক মে ১৮, ২০১৭, ০১:২২ পিএম
মেসিকে বিশ্বকাপ জেতার তাগিদ পুয়োল-ক্লিন্সম্যানের

ঢাকা : এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। তিনি লিওনেল মেসি। এ যুগের সেরার আসনে তাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে আগেই। কিন্তু সমকাল ছাপিয়ে সর্বকালের সেরা হতে আর কী চাই লিওনেল মেসির? জুর্গেন ক্লিন্সম্যান বলছেন, ফুটবল ইতিহাসে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যেতে একটি বিশ্বকাপ জিততেই হবে মেসিকে। নিজের উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বকাপ জয়ের কোনো বিকল্প নেই।

ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন মেসি। আটটি স্প্যানিশ লীগ ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপার সঙ্গে তার ঝুলিতে আছে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর ট্রফি। কিন্তু এত কিছু জেতার পরও মেসির ক্যারিয়ারে রয়ে গেছে বড় এক অপূর্ণতা। আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় ট্রফি বিশ্বকাপটাই যে এখনও ছুঁয়ে দেখা হয়নি। আসলে আর্জেন্টিনার হয়ে এক অলিম্পিক স্বর্ণ ছাড়া কিছুই জেতা হয়নি তার।

গত বিশ্বকাপ ফাইনালের পাশাপাশি তিনবার হেরেছেন কোপা আমেরিকার ফাইনালে। দেশের জার্সিতে এই শিরোপাখরা নিয়ে অনেক বাঁকা কথা শুনতে হয় মেসিকে। তার মতো ফুটবলের অন্যতম সেরা এক দূতের যা প্রাপ্য নয়। অমরত্নের সুধা পানের জন্য বিশ্বকাপ জয়ের শর্ত জুড়ে দিলেও মেসিকে নিয়ে মুগ্ধতার শেষ নেই ক্লিন্সম্যানের। জার্মান কিংবদন্তির বিশ্বাস, আগামী বছর রাশিয়া বিশ্বকাপেই ঘুচে যেতে পারে মেসির অপূর্ণতা। সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ কার্লোস পুয়োলও আশাবাদী, একদিন বিশ্বকাপ জিতবেন মেসি। ক্লিন্সম্যানের মতো স্প্যানিশ গ্রেট পুয়োলও জিতেছেন বিশ্বকাপ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাহাত্ম্য তাদের চেয়ে আর ভালো কে জানে!

২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে তার উত্তরসূরিরাই কাঁদিয়েছিলেন মেসিকে। কিন্তু ২০১৮ বিশ্বকাপে মেসিকে বিজয়ী হিসেবে দেখতে চান ক্লিন্সম্যান, ‘নিজের ছাপ রেখে যেতে, নিজেকে সর্বকালের সেরা করে তুলতে বিশ্বকাপটা জিততেই হবে মেসিকে। মনেপ্রাণে চাই, ওর এই অধরা স্বপ্ন পূর্ণ হোক। দেশের জার্সি গায়ে ফুটবলের সেরা পুরস্কারটা সে পাক। কারণ, এটা তার প্রাপ্য। পরের বিশ্বকাপ রাশিয়ায়। সেখানে তার ভালো সম্ভাবনা আছে।’

মেসির বিখ্যাত পূর্বসূরি ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই ১৯৯০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ক্লিন্সম্যানের জার্মানি। মেসির মতো ম্যারাডোনাকে নিয়েও মুগ্ধতা ঝরল ক্লিন্সম্যানের কণ্ঠে, ‘মেসিকে আমি খুবই পছন্দ করি। ম্যারাডোনার প্রতিও আমার মুগ্ধতা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। কারণ, তার বিপক্ষে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ইন্টার বনাম নাপোলি এবং জার্মানি বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে বহুবার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। ম্যারাডোনা ছিল শিল্পী। অন্যরা যা দেখতে পেত না, সে তাই দেখত। বল পাওয়ার আগেই সে জানত, কী করতে হবে তাকে। সে ছিল সত্যিকারের শিল্পী। মেসি অন্যরকম। সে সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে চায়। একই সঙ্গে সে দারুণ বিনয়ী। তবে তার সবচেয়ে বড় গুণ হল, সে একজন গ্রেট স্কোরার।’

পুয়োলের সৌভাগ্য হয়নি ম্যারাডোনার সঙ্গে খেলার। তবে মেসির পাশে খেলতে পেরেই গর্বিত তিনি, ‘সবসময় নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকে মেসির। এ জন্যই দশ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাচ্ছে সে। শুধু বার্সেলোনার হয়ে নয়, আমি আশাবাদী একদিন দেশের হয়েও সে বড় কিছু জিতবে। বিশ্বকাপ ওর প্রাপ্য।’

মেসির সঙ্গে রোনাল্ডোর তুলনা টানতে গিয়ে পুয়োল সেরার আসনে বসালেন সাবেক সতীর্থকেই, ‘আমার কাছে মেসিই সেরা। ওর সঙ্গে খেলেছি। তাই জানি, সে কত বড়মাপের ফুটবলার। মুগ্ধ হয়ে ওর জাদু দেখতাম। রোনাল্ডোও ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওদের দু’জনের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলে সবসময়। যা ওদের আরও শাণিত করেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মেসিই সেরা।’ ওয়েবসাইট।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!