• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেসিকে হারিয়ে এবার ফিফা বর্ষসেরাও রোনালদো


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ১০, ২০১৭, ১১:২৬ এএম
মেসিকে হারিয়ে এবার ফিফা বর্ষসেরাও রোনালদো

ঢাকা : ব্যালন ডি’অর জিতেছেন কয়েক দিন আগে। নতুন রূপে শুরু হওয়া ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই হতে যাচ্ছেন- এ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তারপর থেকেই। আর পরশু তো স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে খবরই দিয়ে দেয়, রোনালদোর হাতেই উঠছে ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফি। গুঞ্জন আর মার্কার বিশ্বস্ত সূত্রের খবর দুটোই সত্যি হলো। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ উইঙ্গারই হলেন ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’-এ বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়। জুরিখে কাল রোনালদোর হাতে ট্রফি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। গত বছর রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও পর্তুগালের হয়ে ইউরো জেতেন রোনালদো। বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব হিউস্টন ড্যাশের মিডফিল্ডার কার্লি লয়েড।

বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ফরাসি ফরোয়ার্ড আন্তনিও গ্রিজমানকে হারিয়ে ফিফার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রোনালদো। এর আগে গত ডিসেম্বরে ব্যালন ডি’অরও জয় করেন সিআর সেভেন।

২০০৮ সাল থেকেই ফিফার বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অরকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন রোনালদো ও মেসি। এই নিয়ে গত নয় মৌসুমে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার কিং লিও পাঁচবার এবং সিআর সেভেন চারবার জিতেছেন। এবার ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার আলাদা হওয়ার পর দুটিতেই শেষ হাসি হাসেন রোনালদো।

২০০৮ ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন রোনালদো। এরপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্যালন ডি’অর জয় করেন তিনি। এবার পুরস্কার দুটি আলাদা হওয়ার পর ফিফার বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর দুটির পুরস্কারই ওঠে রোনালদোর হাতে।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মেসি-রাজের শুরু। এরপর ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে ব্যালন ডি’অর জয় করেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। গত বছরও সেরার পুরস্কারটি ওঠেছিল তার হাতে। তবে এবার ফিফার বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর দুটিতেই রোনালদোর কাছে হেরে যান কিং লিও।

গত বছরের মে মাসে রিয়াল মাদ্রিদকে প্রায় একক নৈপুণ্যে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতিয়েছিলেন রোনালদো। দুই মাস যেতে না যেতেই পর্তুগাল জাতীয় দলকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দেন। এই মূল্যবান দুটি ট্রফি জেতায় রোনালদোই গ্রহের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন।

গত বছরের আগস্টে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার পরও সময়টা ভালোই যাচ্ছে রোনালদোর। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইউরোপিয়ান সুপার কাপের শিরোপা জেতার পর ডিসেম্বরে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দলটিকে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতান সিআর সেভেন। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ১৭ গোল করেন রোনালদো।

গত মৌসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পথে ১৬টি গোল করেন রোনালদো। গেল মৌসুমে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ গোল করেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার। অন্যদিকে পর্তুগালকে ইউরো জেতানোর পথে তিনটি গোল করেন সিআর সেভেন।

এদিকে গত মৌসুমে ইনজুরির কারণে উল্লেখযোগ্য সময় মাঠের বাইরে ছিলেন লিওনেল মেসি। তবে তারপরও সময়টা একেবারেই মন্দ যায়নি আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। বার্সেলোনাকে স্প্যানিশ লা লিগা ও কোপা ডেল রের শিরোপা জেতানোর পথে ৪৯ ম্যাচে ৪১ গোল করেন মেসি। অন্যদিকে আর্জেন্টিনাকে প্রায় একক নৈপুণ্য কোপা আমেরিকার শতবর্ষী টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলেন কিং লিও। যদিও শিরোপার লড়াইয়ে হেরে যায় মেসির আর্জেন্টিনা।

অন্যদিকে গ্রিজমান অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তোলেন। ফ্রান্সকে ফাইনালে তোলার পথে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৬টি গোল করে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুটের অ্যাওয়ার্ড জয় করেন এই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ উইঙ্গার।

ফ্রান্স ফুটবল ও ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ায় ব্যালন ডি'অর পুরস্কার আর ফিফার হাতে নেই। ডিসেম্বরে তাই আলাদাভাবে সেরা খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন। ফিফাও আলাদাভাবে সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করে।

আগের ১০ বারের বিজয়ীরা:

ফিফা বর্ষসেরা:

২০০৬: ফাবিও কান্নাভারো

২০০৭: কাকা

২০০৮: ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

২০০৯: লিওনেল মেসি

একীভূত ফিফা ব্যালন ডি’অর:

২০১০: লিওনেল মেসি

২০১১: লিওনেল মেসি

২০১২: লিওনেল মেসি

২০১৩: ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

২০১৪: ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

২০১৫: লিওনেল মেসি

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!