ঢাকা: ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ শুরুর আগে গ্যালারিতে একটি ব্যানারে সকলের চোখ আটকে গিয়েছিল। বড় বড় অক্ষরে সেখানে লেখা ছিল ‘‘ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করো”। সমর্থকদের মনের রাজাকে আসলেই কাল রক্ষা করেছিলেন ঈশ্বর, দুই গোল উপহার দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা মেসি শুধুমাত্র দলের জয় নিশ্চিত করেননি, চ্যাম্পিয়নস লিগে শততম গোলের রেকর্ডও গড়েছেন।
লিওনেল মেসির জোড়া গোলে চেলসিকে শেষ ১৬’র দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। একইসাথে কাতালান জায়ান্টদের সুপারস্টার মেসি ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে শততম গোলের রেকর্ডও গড়েছেন।
ম্যাচ শুরুর ১২৯ সেকেন্ডের মধ্যেই ‘‘ম্যাচের রাজা’’ স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন, এই সময়ের মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা একটি পাসও নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করার সুযোগ পায়নি। ২০ মিনিটে ওসমানে ডেম্বেলের ব্যবধান দ্বিগুনের পিছনেও মেসির সহায়তা ছিল। এরপর ৬৩ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে ১২৩তম ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্যারিয়ারের শততম গোল পূরণ করেন মেসি। এই গোলে চেলসিকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে পরাজিত করে শেষ আট নিশ্চিত হয় বার্সেলানার।
এদিন তিন মিনিটের মধ্যেই অবশ্য চেলসির সব কৌশল ভেঙ্গে দিয়ে মেসি দলকে এগিয়ে দেন। ডেম্বেলে ও লুইস সুয়ারেজের সহায়তায় জোড়ালো শটে থিবাট কোরটোয়িসকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। মধ্যমাঠে সেস ফ্যাব্রেগাসের ভুলে মেসি বল পেয়ে ২০ মিনিটে ডেম্বেলেকে দিয়ে দ্বিতীয় গোল করিয়েছেন। ৬৩ মিনিটে সুয়ারেজের সহায়তায় মেসি দ্বিতীয় গোল করলে চেলসির সব আশা শেষ হয়ে যায়।
রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ১৫২ ম্যাচে ১১৭তম গোলের পরে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে মেসি ইউরোপের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন।
ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দে বলেছেন, ‘আমরা জানতাম একটি নির্দিষ্ট সময়ে মেসি ঠিকই জ্বলে উঠবেন। আমরা তার খেলা উপভোগ করি। ইতিহাসের অংশ হিসেবে আমরা তার সাথে থাকতে পেরে সত্যিই গর্বিত।’
এদিকে চেলসি ম্যানেজার এন্টোনিও কন্টে বলেছেন, ‘আমি মনে করি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়ই দলের ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই দুই লেগে সে তিন গোল করেছে। এমনকি ডেম্বেলেকে দিয়ে গোল করিয়েছে, এটা সত্যিই অসাধারণ।’
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কাটিয়ে কাল মূল একাদশে নেমেছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, তবে ডেম্বেলের অন্তর্ভূক্তি বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। পলিনহোকে বাদ দিয়ে মালাগার বিপক্ষে দারুন ফর্মই তাকে বদলী বেঞ্চ থেকে মূল দলে নিয়ে এসেছে। তবে কন্টে আলভারো মোরাতার স্থানে অলিভার জিরুদকে প্রথমে সুযোগ দিয়েছিলেন। এ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলেছেন এডেন হ্যাজার্ড।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :