• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোকতাদির চৌধুরীর শত্রুপক্ষ আ.লীগের ‌‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ হয় কীভাবে?


হাসান শান্তনু নভেম্বর ১৫, ২০১৬, ০৫:৩০ পিএম
মোকতাদির চৌধুরীর শত্রুপক্ষ আ.লীগের ‌‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ হয় কীভাবে?

দেশের পুরনো, ঐতিহ্যময় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দুভার্গ্য, দলটি ক্ষমতায়, বা এর বাইরে থাকলেও শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই। গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাই প্রতিপক্ষের বদলে দলটিকে শত্রুপক্ষের ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয় বেশি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদীগোষ্ঠী বড় দাগে দলটির শত্রুপক্ষ।

রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সেনা ছাউনিতে জন্ম নেয়া বা কালো চশমাপ্রিয় জেনারেল জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপির জনসমর্থন থাকলেও প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার চেয়ে শত্রুপক্ষ থাকার কর্মকাণ্ডই দলটি বেশি করেছে। দেশের প্রগতিশীল বামশক্তিগুলোও শক্ত রাজনৈতিক সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরি করতে পারেনি।

ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান বিচারের বদলে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের রক্ষা করেছেন, একাত্তরের নারী ঘাতক-ধর্মব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করেছেন। অভিযোগ আছে, জিয়ার বিধবা স্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে জামায়াতের সঙ্গে জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের একুশে আগস্টে আরেকটা পনেরো আগস্ট ঘটানোর ষড়যন্ত্র চলে।

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হু.মু এরশাদের পতনের পর ক্ষমতায় গিয়ে খালেদা জিয়া প্রয়াত স্বামীর রাজনৈতিক মডেল ‘রাষ্ট্রপতি শাসিতের’ বদলে দেশি-বিদেশি চাপে সংসদীয় গণতন্ত্র পদ্ধতির দিকে পথ চলেন বটে। বিএনপিকে তিনি ধর্মান্ধগোষ্ঠীর করালমুক্ত করার উদ্যোগ নেননি। 

ফলে বাংলাদেশের মৌলিক আর্দশকে ধারণ করে তখন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপি হয়ে উঠতে পারেনি বলে রাজনীতির বিশ্লেষকদের অভিমত। সবশেষে জামায়াতের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় গিয়ে নানাভাবে বিএনপি প্রমাণ করে, দলটি আওয়ামী লীগের শত্রুপক্ষের সঙ্গেই আছে।

শাসক দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রায়ই বলেন, দেশি-বিদেশি শত্রুপক্ষের নানামুখী, নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সন্ত্রাসমুক্ত করার দৃপ্ত শপথ নিয়ে পথ চলছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন।

দলটির শত্রুপক্ষের যে নাশ ঘটেনি, এ কথা দলের প্রথম সারি থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও জানেন, মানেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও দলে শত্রুপক্ষরা যেন ঢুকতে না পারেন, এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে অনেকবার নির্দেশ দিয়েছেন।

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সাংসদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনি সংস্কৃতি অন্তঃপ্রাণ সংসদ সদস্য। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকতাদির রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচ্ছন্নতার পথিকৃৎ। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। একসময় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য প্রথম সারির ছাত্রনেতা। মাঝখানে দীর্ঘদিন ছিলেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি উন্নয়ন, মঙ্গলের রাজনীতি করছেন।

মোকতাদির চৌধুরীর শত্রুপক্ষ মানে তো বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগেরও শত্রুপক্ষ। বিষয়টা বুঝতে মায়ের দুধ পান করা শিশুর হয়তো অসুবিধা হতে পারে, তবে সাধারণ মেধার কোনো মানুষের এর জন্য নিশ্চয়ই বিলেতি ডক্টরেটের দরকার নেই। এখন তাই সরল প্রশ্ন, মোকতাদিরের শত্রুপক্ষ বা অন্ধকার শক্তি আওয়ামী লীগের ‘শুভানুধ্যায়ী’ হয় কীভাবে? 

তিনি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হন কীভাবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার নতুন করে যে ষড়যন্ত্র করে অপশক্তি, এর ‘দায়ভার’ মোকতাদিরের উপর বর্তানোর খেলা চলে কীভাবে? আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, তা-ই হচ্ছে! চারদলের জোট সরকারের আমলে চরমভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার মোকতাদিরের বিরুদ্ধে এখনো কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত?

শত্রুপক্ষের আওয়ামী লীগে ফাটল ধরানোর ষড়যন্ত্রে কয়েক নব্য আওয়ামী লীগার লাফাচ্ছেন। ভোল পাল্টানো এসব আওয়ামী লীগার এখন দলটির নাকি ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’, এটা প্রচারের জন্য তারা কয়েকটা সংবাদমাধ্যমেরও আশ্রয় নিচ্ছেন। নব্য আওয়ামী লীগারদের মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে খেলাটা বড় আকারে প্রকাশ্যে শুরু হয় গত ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মৌলবাদী তাণ্ডবের পর থেকে।

আগেই বলেছি, মোকতাদিরের বিরুদ্ধে কয়েক খেলারামের খেলার সামনে আছে 'সত্য প্রকাশে আপোষহীন' কয়েকটা পত্রিকা, টিভি চ্যানেল। এসব পত্রিকা, চ্যানেলের মালিকের সঙ্গে নব্য আওয়ামী লীগার ও রাজনৈতিক ইসলামের ইজারাদার জামায়াতিদের ব্যবসাবাজির নানা ফন্দি-ফিকির আছে। প্রচারমাধ্যমগুলো প্রগতিশীল নীতিমালায় বিশ্বাসী বলে পাঠক, দর্শকের কাছে প্রতিনিয়ত দাবি করে আসছে। ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সেই পাকিস্তান আমল থেকে মোশতাক চক্র ষড়যন্ত্র করার বেলায়ও তখনকার কথিত প্রগতিমনা পত্রিকাগুলোর আশ্রয় নিতো।

নাসিরনগরের জঙ্গি হামলার দুইদিন পর ১ নভেম্বর মোকতাদির সেখানে যান। অথচ পরের দিন, ২ নভেম্বর প্রকাশিত দৈনিক প্রথম আলো’র পেছনের পাতার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, 'ঘটনার তিনদিন কেটে গেলেও সদর আসনের সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী নাকি সেখানে যাননি!'

অথচ ১ নভেম্বর নাসিরনগরে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর, ভেঙে ফেলা মন্দির পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওইদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

পরিদর্শন শেষে এনামুল হক শামীম ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

এ খবর কি জানতো না প্রথম আলো? অসত্য সংবাদ প্রকাশের তেরো দিনের মধ্যেও এ বিষয়ে কোনো সংশোধনী ছাপেনি পত্রিকাটি। সাংবাদিকতার নিতান্তই সাধারণ নীতিমালা মেনে হলেও পত্রিকাটির উচিত, সংবাদটির বিষয়ে সংশোধনী ছাপানো। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে পত্রিকাটির বিদ্বেষ থাকতে পারে। তাই বলে তথ্য বিকৃত করার অধিকার সাংবাদিকতার কোনো নীতিমালাতেই উল্লেখ নেই।

দুঃখজনক হচ্ছে, যে দেশের মাটি ছুঁয়ে দিলে শহীদের রক্তে ভিজে যায় হাতের সব আঙুল, সেই বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সময় একক বা মৌলিক রাষ্ট্রীয় পরিচয় নিয়ে দাঁড়াতে পারেনি। প্রগতিশীল এ রাষ্ট্রের মুখের দিকে কখনো তাক করা ছিলো পাকিস্তানপন্থী উর্দিওয়ালাদের বন্দুক, একপর্যায়ে রাষ্ট্রের মাথায় বসিয়ে দেয়া হয়েছে রাজনৈতিক ধর্মের টুপি। 

রাষ্ট্র যেমন একক পরিচয় নিয়ে দাঁড়াতে পারেনি, তেমনই এদেশের অনেক সংবাদমাধ্যম প্রগতিশীলতার দাবি করলেও সবসময় নিজের চরিত্র ধরে রাখতে পারে না। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলেছে প্রগতিশীল পত্রিকা, এরকম উদারহরণও বেশ আছে। এর সাম্প্রতিক সংস্করণ আমরা দেখছি, মোকতাদির চৌধুরীকে নিয়ে কয়েকটা পত্রিকার ভয়ানক মিথ্যাচারের মাধ্যমে।

এবার প্রগতিশীল এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর পক্ষ নেয়ার সাম্প্রতিক একটা কাহিনি জানা হোক। নাসিরনগরে সনাতন ধর্মের মানুষের বসতবাড়ি, মন্দির ভাঙচুরের পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং ওই এলাকার সাংসদ ছায়েদুল হক বলেন, ‘মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। আর এ ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে অতিরঞ্জিত করেছে সাংবাদিকরা। অথচ ঘটনা কিছুই নয়’, (তথ্যসূত্র: দৈনিক ভোরের কাগজ, ০৩.১১.'১৬ খ্রি.)।

জামায়াতি মওলানা মওদুদীর কায়দায় সনাতন ধর্মের অনুসারীদের গালি দেয়ার পর প্রগতিশীল এক সাংবাদিক কৌশলে মন্ত্রীর পক্ষে একটা উপ-সম্পাদকীয় লেখেন। তাতে তিনি দাবি করেন, ‘মালাউন’ শব্দটির অর্থ নাকি ‘দুলাভাই’! গত ৭ নভেম্বর একটা ইংরেজি দৈনিকে তার লেখাটি ছাপা হয়। অথচ বাংলা একাডেম’র ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে’ মালাউন শব্দটির অর্থ হচ্ছে-‘লানতপ্রাপ্ত’, ‘অভিশপ্ত’, ‘বিতাড়িত’, ‘কাফের’, ‘ভিন্ন সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে মুসলমানদের দেয়া গালি’(পৃষ্ঠা-৯৮১)।

ত্রিশের দশকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে ছোট একটা কবিতা লিখেছিলেন। ওই কবিতায় গান্ধীকে তিনি ‘pontifex’ রুপে চিত্রিত করেন শব্দটি ব্যবহার না করেও। কবিতাটি লেখার প্রায় আধা শতাব্দি পর মাক্সীয় তাত্ত্বিক ভিখু পরেখের মতে, শব্দটির অর্থ ‘সেতু নির্মাণকারী’। 

তার মতে, রোমক সভ্যতায় শব্দটি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফল অধ্যক্ষকে ‘pontifex’ রূপে চিত্রিত করা হতো। রাজনীতিবিদের বেলায় শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ‘দার্শনিক’ বা ‘পণ্ডিত’ অর্থে নয়; এর সরল অর্থ- ‘সেতু নির্মাতা’।

শব্দটি মোকতাদির চৌধুরীর বেলায় ব্যবহার করলে মোটেও বাড়াবাড়ি কিছু হবে না। তিনি সত্যিকার অর্থেই দেশপ্রেমের রাজনীতির মাধ্যমে নিজের সংসদীয় এলাকার জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্র বা সরকারের যোগাযোগের সেতু নির্মাতা। তিনি জনগণের কাছে উন্নয়নের কবি।

মোকতাদির চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। নাসিরনগরে মৌলবাদীদের মধ্যযুগীয় তাণ্ডবে সনাতন ধর্মের মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, ভেঙে ফেলা মন্দির সরকার আবার নির্মাণ করে দেবে, আমরা তাতে এক ধরনের আশ্বস্ত থাকতে পারি! মন্দির, প্রতিমা ভেঙে ফেলায় সেখানকার মানুষগুলোর ধর্মীয় অনুভূতি যেভাবে আঘাতপ্রাপ্ত, ক্ষত-বিক্ষত, আতঙ্কিত হয়েছে; তা কীভাবে নির্মাণ করবে রাষ্ট্র বা প্রশাসন?

সেটা মোকতাদির চৌধুরীও পারবেন না। তবে তিনি আক্রান্তদের পাশে আছেন, তাদের আশ্বস্ত করছেন। তাদের প্রথম মৃত্যুর পর দ্বিতীয় জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সাপ খোলস পাল্টায়, বিষ পাল্টায় না। নব্য আওয়ামী লীগারদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা নিশ্চয়ই এমনটাই ভাবেন!

হাসান শান্তনু: সাংবাদিক, গণমাধ্যম গবেষক। 
[email protected]

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!