• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মোদির আমন্ত্রণ জানিয়ে ফিরলেন জয়শঙ্কর


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৬:৪৬ পিএম
মোদির আমন্ত্রণ জানিয়ে ফিরলেন জয়শঙ্কর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তায় চলছে মোটরসাইকেল

ঢাকা: আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধ্বে প্রধামন্ত্রীর ভারত সফর চূড়ান্ত করে দিল্লি ফিরে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাওয়াত পৌঁছানো ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর চূড়ান্ত করতে করতে ঢাকা এসেছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত‌্যাগ করেন। ঢাকাস্থ ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুব্রামানিয়ামকে বিদায় জানান।

মোদির দাওয়াত নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসেন তিনি। সেদিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যাওয়ার জন‌্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন বাংলাদেশে প্রথম সফরের পর শেখ হাসিনাকেও দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

আলোচিত এই সফর গত বছরের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, তিস্তা ‍ও ভারতের গঙ্গা নদীতে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে দুই দেশ একমতে পৌঁছাতে পারেনি। তিস্তা নদীর পানি বন্টনের চুক্তি করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে আসছে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই। সর্বশেষ মোদির ঢাকা সফরের সময়ও সেকথা বলা হয়েছিল। তাই প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন অন্তত তিস্তা চুক্তিটি হউক। এজন্য ঝুলে গিয়েছিল সেই সফর।

সফর পেছানোর পরই ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর ঢাকা সফর করেন। তার সফরের সময় চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে ওই সফরের ইঙ্গিত দেওয়া হলেও তা হয়নি। তবে এর মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তা দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩০ মিনিট বৈঠক করেন তারা।

অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হবে। সফরে প্রধানত পারস্পরিক স্বার্থ এবং ধাপে ধাপে উন্নয়ন উদ্যোগের পাশাপাশি যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।

স্থল সীমান্ত এবং ছিটমহল সমস্যাসহ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার পারস্পরিক সমাধানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের উদ্দেশ্য যদি ভালো হয়, আলোচনার মাধ্যমে আমরা যেকোন সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন সুব্রামানিয়াম। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সূচি ও একাধিক চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সুব্রামানিয়ামের ঢাকা সফরের সময়ই ভারতীয় পত্রিকাগুলো সংবাদ প্রকাশ করেছে, তিস্তুা ও গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণে বাংলাদেশের প্রস্তাবে আরো সময় চায় দিল্লি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজি না হওয়ায় এ চুক্তি আটকে আছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরেও বাংলাদেশের অর্জন আশানুরূপ হওয়ার সম্ভাবনা কম দেখছেন পর্যবেক্ষরা।

সোনালীনিউজ/তালেব

Wordbridge School
Link copied!