• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
কেসিসি ও জিসিসি নির্বাচন

মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ২৪, ২০১৮, ১১:১৫ পিএম
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

ঢাকা : খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের মধ্যে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই আনুষ্ঠানিক গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়বেন তারা। আগামী ১৫ মে এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে।

খুলনা প্রতিনিধি ও গাজীপুর প্রতিনিধি পাঠানো প্রতিবেদন-
 
খুলনা :
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক ও সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৩৯ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বর্তমানে এ পদে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আজ মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ করার পরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন বলে জানান তিনি।
 
মো. ইউনুচ আলী বলেন- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। নির্বাচনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণে সার্বক্ষণিক ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন।

গাজীপুর : গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে ৯ বৈধ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় ৭ প্রার্থী আজ থেকে আনুষ্ঠানিক এ প্রচারে নামছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. ফজলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাসির উদ্দিন, ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন, কমিউনিস্ট পার্টির গাজী রুহুল আমিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন।

গতকাল সোমবার শেষ দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী গাজীপুর মহানগরের সভাপতি রাশেদুল হাসান রানা। এর আগে গত রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর জামায়াতের আমির এসএম সানাউল­াহও মেয়র পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

এ ছাড়া গত দুই দিনে ২৮৭ জন সাধারণ কাউন্সিলরের মধ্যে ৩১ জন। সবগুলো ওয়ার্ড মিলিয়ে এ পদে বর্তমানে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৫৬। অপরদিকে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বর্তমানে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৮৪ জন।

গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. তারিফুজ্জামান জানান, মেয়র পদে মোট ১০ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে বাছাইকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফসার উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা ৯ প্রার্থীর মধ্যে গত দুই দিনে দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. খায়রুল ইসলাম জানান, হাই কমান্ডের নির্দেশেই গত রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে এসএম সানাউল­াহ বিএনপির প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন দিয়েছেন।

অপরদিকে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান জানান, তাদের দলের হাইকমান্ডের নির্দেশেই মেয়র প্রার্থী রানা সোমবার শেষ দিন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ১৪ দলের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রকিবউদ্দিন মণ্ডল জানান, আজ মঙ্গলবার প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। এরপর থেকেই প্রার্থীরা গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।
 
খুলনায় ভিজিল্যান্স টিমের সভা : খুলনা ব্যুরো জানায়, কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের সভা গতকাল সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করছেন কি না তা পর্যবেক্ষণ করাই এই টিমের উদ্দেশ্য।

আচরণ বিধিমালা পর্যবেক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে চারটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো ভাগ হয়ে ৩১টি ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণ করবে। আগামীকাল ২৫ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পর্যবেক্ষণ টিম মাঠে কার্যক্রম শুরু করবে।

পর্যবেক্ষণ টিম সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি না অথবা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না তা সরেজমিন পরিদর্শন করবে। নির্বাচন বিধিমালার নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে কি না বা অন্যান্য বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি না তাও দেখবে। আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এই টিম। অন্যান্য নির্বাচনী বিধিনিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারি আদালতেও অভিযোগ দায়ের করবে। এ ছাড়া স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর তিন দিন পর পর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!