• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেয়ে হত্যার বিচার দাবিতে বাবার আকুতি


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মে ১৮, ২০১৭, ০৩:২৯ পিএম
মেয়ে হত্যার বিচার দাবিতে বাবার আকুতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ‘একমাত্র মেয়ে কামরুন নাহার তূর্ণা হত্যার বিচার না পেলে আমার বেঁচে থেকে লাভ কি?’ এমন লেখা ফেস্টুন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে দাড়িয়েছেন এক সন্তার হারা বাবা মফিজুল হক।

তূর্ণা হত্যার প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও তার ঘাতক স্বামী আরিফুল হক রনি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার ও  বিচারের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন মফিজুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি জেলার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ফেস্টুন নিয়ে একাই দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় তার সাথে একাত্বতা পোষণ করে আরও কয়েকজন এলাকাবাসী পাশে দাড়ান।

মফিজুল হক উপজেলার চরচারতলা এলাকার খান মোহাম্মদ সরকার বাড়ির বাসিন্দা। ২৪ এপ্রিল সোমবার বিকালে উপজেলার চরচারতলা এলাকার খান মো. সরকারের বাড়ির তূর্ণার স্বশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে তার মেয়ের ঘাতক স্বামী আরিফুল হক রনিকে প্রধান আসামী ও আরও দুই জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তূর্ণা হত্যার প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো তার ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত কামরুন নাহার তূর্ণার সাথে একই এলাকার তার চাচাত ভাই আরিফুল হক রনির সাথে ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের একটি মেয়ে সন্তার রয়েছে। কামরুন নাহারের কোন ভাই বোন না থাকায় বাবার সকল সম্পত্তির মালিক হন তিনি। এই সম্পত্তি তার স্বামী রনির নামে লিখে দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে চাপ দিত।

২৪ এপ্রিল কামরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয় রনির বাড়ির ছাদের একটি পরিত্যাক্ত পানির ট্যাংক থেকে। এসময় নিহতের হাত-পা বাধা ও মুখে পলিথিন মোড়ানে ছিল। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মফিজুল হক বাদী হয়ে তার মেয়ের স্বামী আরিফুল হক রনিকে প্রধান আসামী করে আরও অজ্ঞাত দুই জনকে আসামী করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলা হওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ঘাতক স্বামী রনিকে পুলিশ ধরতে না পারায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন মামলার বাদী মফিজুল হক।

নিহত কামরুন নাহার তূর্ণার বাবা ও মামলার বাদী মফিজুল হক সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এখনো তার ঘাতক স্বামী রনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশের কাছে দ্রুত রনিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে তাকে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তাই আমি রাস্তায় দাড়িয়েছি। আমার মেয়ে হত্যাকারীদের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে আরও দাঁড়াব’।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, মামলার প্রধান আসামী রনিকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। অচিরেই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!