• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইলে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান মুফতি হান্নান


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১২, ২০১৭, ০২:১৯ পিএম
মোবাইলে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান মুফতি হান্নান

ঢাকা : গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান মোবাইলে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান।

আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে মুফতি হান্নানের সঙ্গে পরিবারের চার সদস্যের সাক্ষাৎ শেষে তার বড়ভাই আলি উজ্জামান কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের একথা জানান।

আলি উজ্জামান বলেন, মুফতি হান্নান সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। মাকে সালাম জানিয়েছেন, তার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, যে কদিন হায়াত আছে ওই কদিনই বেঁচে থাকব। দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে নাজাত দান করেন, হেফাজত করেন এবং ঈমানের সঙ্গে যেন মৃত্যুবরণ করতে পারি। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে এ অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছে।

আলিউজ্জামান বলেন, মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হলে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করতে চান। কারা কর্তৃপক্ষকে তিনি এ দাবি জানিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে তাদের জানিয়েছেন।

মুফতি হান্নান তার সন্তানদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে ভাইকে অনুরোধ করেছেন এবং সবার সঙ্গে তাদের মিলেমিশে থাকতে বলেছেন। তার মায়ের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে প্রকাশ করলে কারা কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল নম্বর রেখে দিয়ে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভব হলে মায়ের সঙ্গে হান্নানকে কথা বলিয়ে দেবেন।

মুফতি হান্নান তার স্ত্রীকে বলেন- যে মামলায় তাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে এটা মিথ্যা মামলা। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এসময় তিনি তার পরিবারের সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন। স্বামীর সঙ্গে সাক্ষৎ শেষে কারা ফটকে তার স্ত্রী জাকিয়া পারভীন সাংবাদিদের এসব কথা বলেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মুফতি হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভীন রুমা, দুই মেয়ে নাজনীন খানম ও নিশি খানম এবং তার বড় ভাই আলী উজ্জামান কারাগারে এসে পৌছায়। পরে সকাল ৭ টার দিকে কারা কতৃপক্ষ তাদের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেয়। ৮টার দিকে তারা কারাগার থেকে বের হয়ে গ্রামের বাড়ি কোটালীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পরিবারের চার সদস্য তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থানার হিরন এলাকা থেকে কারাগারের উদ্দেশে রওনা দেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

এ হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে ফাঁসির সেলে বন্দি রয়েছেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!