• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোরেলগঞ্জে পার্চিং পদ্ধতি ও আলোর ফাঁদে সফল কৃষক


মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  অক্টোবর ৮, ২০১৬, ০৬:৪৫ পিএম
মোরেলগঞ্জে পার্চিং পদ্ধতি ও আলোর ফাঁদে সফল কৃষক

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলের ক্ষেতে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে পাচিং পদ্ধতিতে ও আলোর ফাঁদ পেতে প্রতিদিন বিনা খরচে হাজার হাজার  পোকা নিধলে সফলতা অর্জন করেছে কৃষক। ফলে ফসলের বাম্পার ফলনের আশায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। 

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে,  দিনের বেলায় ফসলের জমিতে সারি সারি পোতা গাছের ডালে বসছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। এসব পাখি ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা খাচ্ছে । অন্যদিকে, রাতের বেলায় ক্ষেতের পাশে কিংবা আইলের ওপরে স্থাপিত কৃষকদের তৈরি আলোর ফাঁদে পড়ে নিধণ হচ্ছে হাজার হাজার ক্ষতিকর পোকা। 

উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ-২/২০১৬-১৭ মৌসুমে এ উপজেলার পৌরসভা ও  ১৬ ইউনিয়নে ২৬ হাজার ৮ শ’ হেক্টর জমিতে আমন চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে স্থানীয় আমন ও ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের জমি। এ বছর অতি বৃষ্টি ও হঠাৎ জোয়ারের পানি আসার ফলে বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হলেও কৃষকের কাছে পর্যাপ্ত বীজ মজুদ থাকা, সময় মত বিএডিসি কর্তৃক বীজ সরবরাহ এবং উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভুদ্ধকরণের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান, সোহরাব হোসেন, লতিফ শেখসহ কয়েক জন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছরে আলোর ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করায় ধানের চেহারা অনেক ভালো। আশা করছেন বিগত বছরের তুলনায় এ বছর তারা ফলন বেশি পাবেন।

বিগত বছরগুলোতে আমনের মৌসুমে ব্যাপকহারে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছিল। যার কারণে চলতি মৌসুমে আগে ভাগেই পোকা দমনের কার্যক্রম হাতে নেয় কৃষি দফতর। কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে,  সারিতে রোপন, লোগো পদ্ধতির ব্যবহার ও সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, বালাই দমনে স্কট টীমকে সক্রিয় করা , শতভাগ জমিতে পাচিং ও প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৫টি করে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। কৃষকদের সচেতন করতে প্রত্যেকটি গ্রামে কমপক্ষে ১টি করে উঠান বৈঠক ও কৃষক সমাবেশ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কৃষকদের মাঝে পাতা মোড়ানো পোকা দমনের লিফলেট্য বিতরণ করা হচ্ছে। কীটনাশকের দোকানে পর্যাপ্ত পরিমান পাতা মোড়ানো পোকা দমনের ঔষধ মজুদ রয়েছে এবং মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায় জানান, যেহেতু এ মৌসুমে পাতা মোড়ানো পোকা আমাদের বেশি ক্ষতি করে, তাই এ পোকাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। সেক্ষেত্রে আলোর ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এলাকার কৃষকরা বেশ সুফল পাচ্ছে। এতে কোন খরচ নেই বললেই চলে। বর্তমানে ধান ক্ষেতের অবস্থা খুবই ভালো, আশা করছি বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এ বছর আমন মৌসুমে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!