• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফিজদের কাছ থেকে জয় কেড়ে নিলেন ব্রাভো


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ৮, ২০১৮, ০১:৪৮ এএম
মোস্তাফিজদের কাছ থেকে জয় কেড়ে নিলেন ব্রাভো

ঢাকা: ১৮ তম ওভারে মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানের ওভার থেকে ২০ রান তুলে ম্যাচটা জমিয়ে দিলেন ডোয়াইন ব্রাভো। শেষ দুই ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য দরকার ২৭ রান। জসপ্রীত বুমরাহর প্রথম দুই বলেই ছক্কা। ১০ বলে লাগবে ১৫ রান! চতুর্থ বলটা যখন স্টাম্পে লাগার পরও আউট হলেন না ব্রাভো, তখনই বোঝা গিয়েছিল এই ম্যাচের ভাগ্য চেন্নাইয়ের দিকে হেলে পড়েছে। পঞ্চম বলে আবার ছক্কা, ৭ বলে ৭ রান লাগবে! ম্যাচ তো চেন্নাইয়ের পকেটেই! কিন্তু ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট ব্রাভো!

চোটের কারণে আগে মাঠ ছাড়া কেদার যাদব নামলেন শেষ ওভারে। মোস্তাফিজের প্রথম তিন বলে কোনো রান নিতে পারলেন না। চতুর্থ বলে ছক্কা, পঞ্চম বলে চার! ১ বল ও ১ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। ৩০ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৮ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন ব্রাভো। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। তার আগে একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ফিরে গেছেন ওয়াটসন (১৬) রাইডু (২২), রায়না (৪), ধোনি (৫) ও জাদেজা (১২)।

অথচ এ ম্যাচের নায়ক হওয়ার কথা মায়াঙ্ক মারকান্দের নামের এক লেগ স্পিনারের। তিনি ধোনির মতো ব্যাটসম্যানকে গুগলি দিয়ে বিভ্রান্ত করে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন।  তার আগে আইপিএল ক্যারিয়ারে কোনো রান দেওয়ার আগেই তৃতীয় বলে আম্বাতি রাইডুকে এলবিডব্লু করে দিলেন। নিজের শেষ বলে আরেকটি গুগলিতে চাহারকে স্টাম্পিং করে তৃতীয় উইকেটটাও বুঝে নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার, মাত্র ২৩ রান দিয়েই।

মারকান্দের আগে অবশ্য এক পেসারই মুম্বাইকে প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন। ব্যাটে ঝড় তোলার ব্যর্থতা ভুলিয়ে দিয়ে নিজের প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। পরে অবশ্য মোস্তাফিজও অংশ নিয়েছেন উইকেট উৎসবে।  মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারের শুরুটাও খুব ভালো হয়নি। দ্বাদশ ওভারের প্রথম তিন বলেই এল পাঁচ রান। পরের দুই বলে দুই। শেষ বলটাতেই অবশেষে হতাশা কাটল মোস্তাফিজের। তাঁর কাটারে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা (৭৫/৫)। ২০১৮ আইপিএলে মোস্তাফিজের প্রথম উইকেট। তৃতীয় ওভারে দুর্ভাগ্যবশত দুই চারের সুবাদে দিলেন ১৩ রান। শেষ ওভারে তো ওই অদ্ভুতরে ঘটনা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাইয়ের শুরুটা হয়েছিল হতাশা দিয়ে। এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেলেন এভিন লুইস। রোহিত শর্মা ফিরে গেছেন শেন ওয়াটসনের বলে। টপ অর্ডারের এমন নাভিশ্বাস ভাবটা কাটল স্পিনাররা আসার পর। ঈশান কিষান ও সূর্য কুমার যাদব মিলে ৫২ বলে ৭৮ রানের জুটিতে একটা ভালো ভিত্তি গড়ে দিলেন।

কিন্তু ১৫ রানের মধ্যে সূর্য কুমার (২৯ বলে ৪৩ রান) ও কিষানের (২৯ বলে ৪০) বিদায়ে মুম্বাইয়ের ইনিংসটা আবারও থমকে পড়ে। ১৫ ওভারে মাত্র ১১৭ রান ছিল মুম্বাইয়ের। দলকে টানার দায়িত্বটা এসে পড়ে হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে। কিন্তু ঝড় যা তোলার সেটা তাঁর বড় ভাই ক্রুনালই তুললেন। যেভাবে শুরু করে ছিলেন তাতে স্কোরটা খুব সহজেই ১৮০ পেরোতে পারত। কিন্তু ডোয়াইন ব্রাভোর দুটো দুর্দান্ত ওভার মুম্বাইয়ের শেষটা ভালো হতে দেয়নি। একের পর এক ইয়র্কার দিয়ে দুই ওভারে মাত্র ৮ রান তুলতে দিয়েছেন ব্রাভো। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ক্রুনাল ২২ বলে ৪১ রান তুললেও, ব্রাভোর ইয়র্কারের ঝাপটা গেছে হার্দিকের ওপর দিয়ে। মাত্র ২ চারে ২০ বলে ২২ রান করেছেন হার্দিক। হাতে ৬ উইকেট নিয়েও ১৬৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুম্বাই।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!