• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফিজের অপেক্ষা আর দুসপ্তাহ!


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ২৩, ২০১৬, ১০:২৯ এএম
মোস্তাফিজের অপেক্ষা আর দুসপ্তাহ!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই সাফল্যের ভেলায় ভেসেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ভেলাটাকে থামিয়ে দিল মুহূর্তেই। শুরুর রোমাঞ্চ স্থায়ী হয়নি এক বছরও। এর মধ্যেই একজন ক্রিকেটারের জীবনের বেদনার অংশটিও দেখা হয়ে গেছে তাঁর। কাঁধের চোটে পড়ে গত ১১ আগস্ট লন্ডনে শল্যবিদ অ্যান্ড্রু ওয়ালেসের  ছুরির নিচে যেতে হয়েছে মোস্তাফিজকে। 

গত বছরের জুনে অভিষেক হয়ে মোস্তাফিজ সর্বশেষ ওয়ানডেটি খেলেছেন গত নভেম্বরে। টেস্ট সিরিজ তো খেলেছেন একটাই এবং তা-ও গত বছরের জুলাইয়ে। তাই বলে অবশ্য খুব বেশি সিরিজ মিস করতে হয়নি তাঁকে। মাঝের সময়টায় ওয়ানডে সিরিজ হয়েছে শুধু আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর টেস্ট শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। তবে এ বছরের শুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম চারটি ম্যাচ মিস করার পর শেষ তিনটিতে খেলেছেন মোস্তাফিজ। এরপর সাসেক্সের হয়ে ইংলিশ কাউন্টি খেলতে গিয়েই পড়লেন চোটে।

মোস্তাফিজের মাঠে ফেরার অপেক্ষা সেই থেকে। অস্ত্রোপচারের পর বিসিবির ফিডিও চিকিৎসক ও বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মিরপুরের জিমনেসিয়াম আর ইনডোরে। একাডেমি ভবনই এখন তাঁর ঠিকানা। 

বাড়ি থেকে ফিরে আবারো পুর্নবাসন ক্যাম্পে মোস্তাফিজ। পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে গতকাল (২২ নভেম্বর) মঙ্গলবার থেকে আবারো নেমে পড়েন তিনি মিরপুরের অনুশীলনে। সকালে ট্রেনারের সঙ্গে জিম করলেন। আজ (২৩ নভেম্বর) বুধবারে বোলিং অনুশীলন করার কথা। এদিন ৬০ শতাংশ ইনটেনসিটিতে নেটে বোলিং করবেন চার ওভার। এ সময় ট্রেনারের সঙ্গে থাকবেন বাংলাদেশ দলের নতুন ফিজিও ডিন কনওয়ে।

ছুটিতে যাওয়ার আগে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে ৫০ ভাগ ইনটেনসিটিতে ছোট রানআপে বোলিং করেছিলেন মোস্তাফিজ।
শেষ ধাপের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন দেবাশীষ চৌধুরী, ‘ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে মোস্তাফিজের কাঁধের যে রুটিন স্ক্যান করা হয়েছিল সেই রিপোর্ট ছিল বেশ সন্তোষজনক। অস্ত্রোপচারের পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নতি সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে।’

‘আজ থেকে আবার রিহ্যাব (পুনর্বাসন) প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বোলিং অনুশীলনে যায়নি। প্রথম দিনটা ট্রেনারের সঙ্গে জিম সেশন করেছে। আগামীকাল ট্রেনার এবং বাংলাদেশ দলের যে নতুন ফিজিও আছেন ওনার তত্ত্বাবধানে বোলিং সেশন শুরু করবে।’ যোগ করেন বিসিবির এ চিকিৎসক।

দেবাশীষ আরও বলেন, ‘আগামীকালের যে প্ল্যান তাতে ৬০ শতাংশ ইনটেনসিটিতে চার ওভার বোলিং করবে। এভাবে প্রতিদিনই ইনটেনসিটি বাড়াতে থাকবে। কোনো ধরণের সমস্যা দেখা না দিলে প্রতিদিনই অল্প অল্প বাড়াবে। আশা করা যায়, এভাবে চলতে থাকলে এ মাসের শেষে বা সামনের মাসের শুরুর দিকে সে পুরো ফিটনেস ফিরে পাবে। সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।’

ফিটনেস ফিরে পাওয়ার পর ম্যাচ ফিটনেসের জন্য ম্যাচ খেলতে হবে বলে জানান দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি জানান, নিউজিল্যান্ড সফরে খেলানো যাবে কিনা সেটি নির্ভর করবে টিম ম্যানেজমেন্টের উপর, ‘ম্যাচ না খেললে তো আসলে ম্যাচ ফিটনেস পাওয়া যাবে না। মোস্তাফিজ ফিরে পাবে ওর গতি ও অ্যাকুরেসি। শারীরিক সক্ষমতা ফিরে পাবে। কিন্তু ম্যাচ সিচুয়েশনে কেমন করছে সেটা ম্যাচ খেললেই বোঝা যাবে। 
আমাদের কাজ হচ্ছে ম্যাচের জন্য ফিট করে টিম ম্যানেজেমেন্টের কাছে ওকে হস্তান্তর করা। তখন ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেবে ওকে কখন, কিভাবে ব্যবহার করবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই
 

Wordbridge School
Link copied!