ঢাকা: যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার এরিনাতে সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে পুলিশ সালমান রামাদান আবেদিকে চিহ্নিত করেছে। তার বাবা-মা এখন দুজনেই লিবিয়াতে ফিরে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সালমান নিজে কিছুদিনের জন্য যুক্তরাজ্য ছেড়ে গিয়েছিল, তবে সে আবার ফিরে আসে।
সালমান আবেদি ও তার পরিবার ম্যানচেস্টার শহরের একাধিক ঠিকানায় থাকতো।এর মধ্যে রয়েছে ফ্যালোফিল্ড এলাকার এলসমোর রোডের একটি বাড়িও - যেখানে পুলিশ হানা দিয়েছিল। শহরের হোয়েলি রেঞ্জ এলাকার একটি বাড়িতেও পুলিশ কর্মকর্তারা তল্লাসি চালিয়েছেন। তদন্তের সূত্র ধরে ২৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে লিবিয়ান অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় ঠিকানাগুলোর একটা হল ম্যানচেস্টার। প্রতিবেশীরা বলছেন, আবেদি-দের বাড়িতে বছরের কোনও কোনও সময় লিবিয়ার পতাকা উড়তেও দেখা যেত।
তাদের অনেকের সঙ্গে সিরিয়া ও লিবিয়ারও সংযোগ আছে। এই সব জঙ্গীদের কেউ কেউ এখনও বেঁচে, অনেকেই আবার মারা গেছে।
ম্যানচেস্টার ইসলামিক সেন্টার, যা ডিডসবারি মসজিদ নামেও পরিচিত, সেখানকার একজন ট্রাস্টি প্রেস অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছেন খুব সম্ভবত আবেদি সেখানে নামাজ পড়তেও আসত।
ফাওয়াজ হাফার জানান, আবেদির বাবা মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজও করতেন। তার এক ভাই সেখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
ডিডসবারি মসজিদের ইমাম মোহামেদ সাঈদ এল-সায়েতি আবেদিকে একজন 'বিপজ্জনক জঙ্গী' হিসেবেই মনে রেখেছেন। যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকা সেই মর্মেই রিপোর্ট করেছে।
ওই ইমামকে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের ওপর আমি যে ভাষণ দিয়েছিলাম তারপর সালমান আবেদি আমার দিকে ঘৃণা ও বিদ্বেষের দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, সালমান আবেদি যে তাকে পছন্দ করত না এটা তিনি বেশ বুঝতে পেরেছিলেন। ফলে গোটা ঘটনাটা তার কাছে বিস্ময়কর ঠেকছে না।
চিফ কনস্টেবল ইয়ান হপকিন্স বলেছেন, গোয়েন্দাদের কাছে এখন অগ্রাধিকার হল আবেদি একাই কান্ডটা ঘটিয়েছে, না কি সে আরও বৃহৎ নেটওয়ার্কের অংশ - সেটা খুঁজে বের করা।
ইসলামিক স্টেট এর মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, এই হামলা তাদের গোষ্ঠীর একজন সদস্যই চালিয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই
আপনার মতামত লিখুন :