• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যখন নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম


ধর্মচিন্তা ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮, ০৯:৪৫ এএম
যখন নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম

ঢাকা: নামাজ বেহেশতের চাবি। তাই আল্লাহর উদ্দেশ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া আমাদের জন্য ফরজ। কারণ এই ফরজ নামাজই আমাদের বেহেস্তের সন্ধান দেবে। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময় আছে। তবে নামাজ না পড়ারও কিছু সময় আছে। তবে কিছু সময় এমন আছে যখন নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম।

আর কিছু সময় এমন আছে যাতে নির্ধারিত কিছু নামাজ পড়া মাকরুহ। সাহাবি উকবা বিন আমের জুহানী রা. বলেন, ‘তিনটি সময়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়’।

উক্ত হাদিসের ভাষ্যানুযায়ী নামাজের নিষিদ্ধ সময় তিনটি। যথা-১. সূর্য যখন উদিত হতে থাকে এবং যতক্ষণ না তার হলুদ রঙ ভালোভাবে চলে যায় ও আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরজন্য আনুমানিক ১৫-২০ মিনিট সময় প্রয়োজন হয়। ২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়; যতক্ষণ না তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে। ৩. সূর্য হলুদবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

উল্লিখিত তিন সময়ে সব ধরনের নামাজ পড়া নিষেধ। চাই তা ফরজ হোক কিংবা নফল। ওয়াজিব হোক বা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এ সময়ে শুকরিয়ার সিজদা এবং অন্য সময়ে পাঠকৃত তিলাওয়াতের সিজদাও নিষিদ্ধ। তবে এই সময়ে জানাজা উপস্থিত হলে বিলম্ব না করে তা পড়ে নেয়া যাবে।

অন্য হাদিসে আরো দুই সময়ে নামায পড়ার নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সাহাবি আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, ‘আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোনো নামাজ নেই। আসরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো নামায নেই।

এই দুই সময়ে কোনো ধরনের নফল নামাজ পড়া জায়েজ নেই। তবে আসরের নামাজের পর সূর্য লালবর্ণ ধারণের আগ পর্যন্ত কাযা নামাজ পড়া যাবে। এরপর আর কাযাও পড়া যাবে না। তবে এ দুই সময়ে জানাজার নামাজ পড়া যাবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!