• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড: আপিল বিভাগ


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৪:৪০ পিএম
যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড: আপিল বিভাগ

ঢাকা: আপিল বিভাগ যে রায়টি দিয়েছেন এবং যেটা আজকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, এই বিষয়টি হল একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড ছিল এই মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্ট থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তর হয়েছে এক্ষেত্রে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত হল তাকে আমৃত্যুই কারাগারে থাকতে হবে। যার মৃত্যুদণ্ড আদেশ ছিল এটাকে কমিয়ে যেটা যাবজ্জীবন দেয়া হয় এই যাবজ্জীবনের অর্থ হল আমৃত্যু কারাদণ্ড।

এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যে ক্ষমতা জেল কোডের ক্ষমতা এগুলো এপ্লিকেবল হবে না, কমানো যাবে না। শুধু রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা উনি এক্সারসাইজ করতে পারবেন উনি কমাতেও পারবেন উনি মাফও করতে পারবেন। এই বিষয়টা হল এখানে।

অন্যান্য যেগুলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয় নিম্ন আদালতে সেগুলোর ক্ষেত্রে যা এখন আইনে আছে তাই চলবে। এই বিষয়টি হল- এই রায় প্রকাশের ফলে সবার মনে যে প্রশ্ন জেগেছে এটা সবক্ষেত্রে হবে কি না, এই মামলাটি একটি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লোককে যাবজ্জীবনে রূপান্তরিত করেছিল হাইকোর্ট। এই যাবজ্জীবন রূপান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে এই সাজাটা কতদিন হবে, সেক্ষেত্রে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন আমৃত্যু ধরতে হবে তার সাজা। এক্ষেত্রে জেল কোড বা অন্যান্যভাবে তার সাজা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।

শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে এটাকে কমাতে পারবে বা তাকে মাফ করতে পারবে।

এটা যে মামলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে বিস্তারিত রায় পড়ে যদি দেখা যায় যে তার ইন্ডিকেশনটা যদি অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে বলা হয়, সেক্ষেত্রে এপ্লিকেবল হবে। এক্ষেত্রে পুরো রায়টা না পড়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব না।

ন্যাচারালি সেটা বলেছেন এ কারণে যার মৃত্যুদণ্ড ছিল তাকে যাবজ্জীবন করে দেয়া হল এ দিক নির্দেশনার জন্যই এটা পাঠানো হবে। অন্য ক্ষেত্রে এটা বিস্তারিত না পড়ে মন্তব্য করা হবে না।

পেনাল কোড সংশোধনের বিষয় পার্লামেন্ট সব সময় পারে। সেটা ভিন্ন কথা। আইনে যেটা যেভাবে যা আছে সেটাকেই আপিল বিভাগ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।

প্রযোজ্যতা: এই মামলাটিতে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে যদি না জেনারেল অন্য কিছু বলা হয় তাহলে এটার ব্যাপারেই প্রযোজ্য হবে।

এই রায়ের প্রেক্ষিতে এখন যতো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাদেরকে যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়, হাইকোর্ট বা আপিল বিভাগ যদি করে তবে তার ইফেক্টটা হবে আমৃত্যু কারাগারেই থাকতে হবে।

আপিল বিভাগের রায় এপ্লিকেবল হবে। যার নাকি জীবন চলে যেত ফাঁসিতে তাকে যদি যাবজ্জীবন করা হয়, তারপর তিনি বেরিয়ে চলে যাবেন এটা হয় না। আইন ব্যাখ্যা করেই এটা করা হয়েছে।

আইনের সংশোধন দরকার হবে না।

দণ্ডবিধির ৫৭ ধারার সঙ্গে এটা সাংঘর্ষিক হবে না। এগুলো আপিল বিভাগ ৫৭ ও অন্যান্য ধারা ব্যাখ্যা করেই এটা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

নরমাল ক্ষেত্রে রায়টা বিস্তারিতভাবে না পড়ে বলা যায় না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!