• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়া বানাতে উ. কোরিয়ার ৩০ বোমা প্রস্তুত!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২০, ২০১৭, ০৩:০৯ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়া বানাতে উ. কোরিয়ার ৩০ বোমা প্রস্তুত!

ঢাকা: উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোরও বিশ্লেষণ প্রতিনিয়তই পাল্টে যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশের এই উত্তেজনা কতদূর এগোবে তা পরিস্কার করে কেউ বলতে পারছে না।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়াবাড়ি করলে উত্তর কোরিয়ার অবস্থা আফগানিস্তান ও সিরিয়ার মত হতে পারে। তবে এবার একটা নতুন তথ্যে কপালে ভাঁজ পড়তে পরে মার্কিন মুলুকের! ইরান ভিত্তিক পার্সটুডে বলছে, উত্তর কোরিয়ায় যে পরিমান পরমানু বোমা রয়েছে তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালালে সিরিয়ার মত অবস্থা দাঁড়াবে। 

উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম না বেশি তা অতীতের আলোকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যদি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ যদি বেঁধেই যায়, তাহলে সেটা হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়াবে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এক্ষেত্রে মিত্রদেশ হিসেবে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গপুরের সহযোগিতা পাবে তারা।

দুই দেশের দুই নেতা

অপরদিকে, উত্তর কোরিয়াকে প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে সাহায্য করবে চীন। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক বরাবরই বৈরি আর সিরিয়ার ব্যপারে তো আছেই, সেহেতুই উত্তর কোরিয়ার বলয়ে রাশিয়াকেও কেউ কেউ যুক্ত করতে চাচ্ছে।

তবে পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার নিজস্ব সক্ষমতা কথা। ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির বরাত দিয়ে ওই সংবাদে বলা হয়, দেশটি সম্পর্কে আগে যে ধারণা করা হতো তার চেয়ে অনেক বেশি পরমাণু বোমা রয়েছে। দেশটিতে অন্তত ৩০টি পরমাণু বোমা রয়েছে। এ ছাড়া, তিন বছরে এ সংখ্যা দ্বিগুণ করার মতো বোমা তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানও  আছে। 

আর এতে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমার সংখ্যা নিয়ে আগে যে ধারণা করা হতো তা পুরোপুরি বদলে গেছে। দেশটি নতুন পরমাণু শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। আর এজন্যই ট্রাম্পের কপালে ভাঁজ।

ট্রাম্পের ধারণা ছিলো, ১৯৯৯ সাল দেয়া হিসাবে অনুযায়ি পিয়ংইয়ং’য়ের হাতে একটি বড়জোর দু’টি পরমাণু বোমা রয়েছে। সে হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির পরমাণু বোমার সংখ্যা বেড়ে ১০টি হতে পারে।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়া

বিজ্ঞানভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডেভিড অলব্রাইট আরো বলেন, প্লুটোনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়ানোর কারণে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, কাগজ কলমের হিসাবের ভিত্তিতে বলা যায় যে উপগ্রহ পাঠাতে যে রকেট ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে আমেরিকায় পরমাণু হামলা চালাতে পারবে উত্তর কোরিয়া।

সম্প্রতি, পিয়ং ইয়ংয় ঘন ঘন মিসাইল পরীক্ষা ও রকেট উৎক্ষেপণ ও সমরাস্ত্র প্রর্দশন করছে। আর এতে মাথাব্যথা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পিন্স বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত নীরবতার সময় শেষে। এখন উচিত জবাব দিতে হবে। 

অপরদিকে, উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং-রায়ল বলেছেন, আমাদের মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ থাকবে না। বরং তা সপ্তাহ, মাস বা বছর ব্যাপী চলবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যদি হামলা করে তাহলে আমরাও ছাড় দিব না। ‘পূর্ণ যুদ্ধ’ চলবে।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!