• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধ থেমেছে আফ্রিদি-মিয়াঁদাদের


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ১৭, ২০১৬, ০২:৪৪ পিএম
যুদ্ধ থেমেছে আফ্রিদি-মিয়াঁদাদের

পাকিস্তানের সিনিয়র অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি আর সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদের দ্বন্দ্ব মিটে গেছে। মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম আফ্রিদিকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানোর পরই কি তাহলে এই বাগযুদ্ধ থেমে গেল?

পাকিস্তান জাতীয় দলের ওয়ানডে আর টেস্ট থেকে বিদায় নেওয়া আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন। গত কয়েকটি সিরিজে আফ্রিদিকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচকরা। তাতে, সিনিয়র এই অলরাউন্ডার শেষবারের মতো মাঠ থেকে বিদায় নিতে একটি ম্যাচে খেলার সুযোগ চেয়েছিলেন। সেটিও পাননি। এদিকে, আফ্রিদি এই বিদায়ী ম্যাচ খেলার ইচ্ছা জানানোর পর মিয়াঁদাদ জানান, ‘টাকার জন্য আফ্রিদি বিদায়ী ম্যাচ চাইছে’। মিয়াঁদাদের এমন মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বাগযুদ্ধ  লেগে যায় আফ্রিদির। তিনি জানান, ‘মিয়াঁদাদ নিজেই টাকার কাঙাল’।

এরপর কথার যুদ্ধটা বেশ ভালোই জমে উঠে। আফ্রিদিকে জুয়াড়ি আর ম্যাচ পাতানো ক্রিকেটার জানিয়ে বক্তব্য দেয় মিয়াঁদাদ। সেটি সহ্য করেননি আফ্রিদিও। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তিনি জানান, মিয়াঁদাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। মাঝে এই বাগযুদ্ধ বন্ধ করতে এগিয়ে আসেন ওয়াসিম আকরাম। বাঁহাতি এই পেস কিংবদন্তি জানিয়েছিলেন, দু’জনকেই পরষ্পরের  প্রতি সম্মান রাখতে হবে।

তাতেও কাজ হয়নি। মন গলেনি আফ্রিদির। মিয়াঁদাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকা টি-টোয়েন্টির সাবেক দলপতি এমন অবস্থায় হুমকি পান মিয়াঁদাদের  ছেলের শ্বশুর দাউদ ইব্রাহিমের কাছ থেকে। মাফিয়া নেতা দাউদের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় আফ্রিদির কাছে। সেখানে আফ্রিদিকে তার ভবিষ্যৎ পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
তাতেই হয়তো মন গলে দুই ক্রিকেটারের। দ্বন্দ্ব মিটে যাওয়ায় দু’জনই দেখা করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, একে অপরকে তারা মিষ্টিমুখও করিয়েছেন।

মিয়াঁদাদ জানান, ‘এটা খুব ভালো লাগার মতো ব্যাপার যে আফ্রিদি আমার পাশে এসে বসেছে। আমাদের মাঝে সত্যিই কোনো ঝামেলা নেই।’ আফ্রিদিও জানান, ‘মিয়াঁদাদ আমার বিরুদ্ধে যা বলেছিল তার কোনো ভিত্তি নেই। আমি খুবই খুশি তার মতো একজন মানুষের সঙ্গ পেয়েছি। আমার ভক্তদের দুঃখ দেওয়ার মতো মানুষ তিনি নন। তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো আর তাকে আমি সেভাবেই সম্মান করি।’

এদিকে, আরও জানা যায়, মিয়াঁদাদ আফ্রিদিকে ক্ষমা করে দিয়ে বলেছেন, ‘সে যদি আমার কোনো মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকে আমি তা প্রত্যাহার করে নিলাম।’ আর আফ্রিদি এটা শুনে বলেছিলেন, ‘আমি খুশি হয়েছি, তিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন। তিনি আমার সিনিয়র। আমি কখনও চাই না তিনি আমার কাছে ক্ষমা চান। তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন এটাই আমার ও আমার ভক্তদের জন্য বড় পাওয়া।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!