• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুবতী মেয়েদের ধর্ষণ করাই ছিল সুমনের নেশা


কুমিল্লা প্রতিনিধি জুন ৯, ২০১৮, ০৪:৫৭ পিএম
যুবতী মেয়েদের ধর্ষণ করাই ছিল সুমনের নেশা

কুমিল্লা: ডাকাতি করার আগে সুমন তার গ্রুপের সদস্যদের দিয়ে প্রবাসীদের বাড়িগুলো বেশি টার্গেট করতো। মালামাল লুটের আগে নারী ও যুবতী মেয়েদের অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করতো। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোকজন জানান, পুলিশের অভিযানের ভয়ে সে বাড়িতে রাত্রিযাপন না করে গ্রুপ নিয়ে আশপাশের এলাকায় অবস্থান করতো এবং মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে ডাকাতি করতো। নিজ উপজেলা দেবিদ্বারের লোকজনের কাছে সে ছিল একটি ভয়ানক আতঙ্ক।

শুক্রবার (৮ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সুমন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। নিহত ডাকাত সদস্য সুমন (৩৫) জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কুরুইন গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

দেবিদ্বার থানা পুলিশের ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, একদল ডাকাত দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের ছেচরাপুকুরিয়া এলাকার রাস্তার মাথায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে। এ সময় সশস্ত্র ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশও ১৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি চালায়। এতে উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় নিজেদের (ডাকাত) গুলিতেই ডাকাত সুমন গুরুতর আহত হয় বলে ওসি জানিয়েছেন। পরে আহত ওই ডাকাত সদস্যকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দেবিদ্বার থানা পুলিশের ওসি আরও জানান, ডাকাত সুমনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেবিদ্বার, চান্দিনা, বুড়িচং, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৮টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে। মামলার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনা পর্যালোচনায় বেড়িয়ে এসেছে সুমনের রোমহর্ষক কাহিনী। ডাকাতি করতে গিয়ে ধর্ষণই ছিল সুমনের নেশা। তবে সামাজিক কারণে কেউই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ না করে বিষয়টি চাপা রাখতো। 

দেবিদ্বার থানার এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাত সুমনের মৃত্যুর পর তার নিজ এলাকার লোকজনই পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!