• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগ কর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী নিহত!


বরিশাল প্রতিনিধি নভেম্বর ২২, ২০১৭, ০৮:০০ পিএম
যুবলীগ কর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী নিহত!

ফাইল ফটো

বরিশাল: শিক্ষকদের গালমন্দ করার প্রতিবাদ করায় কতিপয় যুবলীগ কর্মীর বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পালরদী মডেল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী সাকির গোমস্তাকে (১৭) পিটিয়ে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সাকির উপজেলার আশোকাঠি গ্রামের আইয়ুব আলী গোমস্তার ছেলে।

এদিকে সাকির হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ওই বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার সহপাঠীসহ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। এ ঘটনায় গৌরনদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ের সম্মুখে ইভটিজিং ও মাদক সেবনের ঘটনায় শিক্ষকদের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে দক্ষিণ বিজয়পুর গ্রামের যুবলীগ কর্মী সোহেল গোমস্তা (২৮), রিয়াজ খান (২৫) মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে স্কুল গেটে বসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের গালাগাল করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার রায়ের সঙ্গে সোহল ও রিয়াজের বাকবিতন্ডা হয়। তখন বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী সাকির গোমস্তা শিক্ষকদের গালাগালের প্রতিবাদ করলে সাকিরের সঙ্গে রিয়াজ, সোহেলের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।

এর জের ধরে রিয়াজ খান, সোহেল গোমস্তার নেতৃত্বে যুবলীগের ১০/১২ কর্মী ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে  মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্কুল রোডে মাহাবুব হাওলাদারের দোকানের সামনে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ও কলেজ ছাত্র সাকির গোমস্তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, সাকিরকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে সাকিরের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ভর্তির পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ কর্মী সাকিরের শতাধিক সমর্থক উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে স্কুল সংলগ্ন মাহাবুব হাওলাদারের  মুদি দোকান ও আশোকাঠি এলাকা সোহেল মীরের ঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সাকিরের মা বাদী হয়ে সোহেল গোমস্তা, তাঁর বাবা ইউসুফ গোমস্তা, তাঁর সহযোগী রিয়াজ খান, ইমরান মীর, সুমন হাওলাদার, ফাহিম হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলাটি আদালতে আবেদন করে হত্যা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!