• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে বাংলাদেশের ভোটার নন তারেক-জোবাইদা


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৩, ২০১৮, ০৭:০১ পিএম
যে কারণে বাংলাদেশের ভোটার নন তারেক-জোবাইদা

ঢাকা: বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান বাংলাদেশের ভোটার হতে পারেননি। দশ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক, আর ডা. জোবাইদা রহমানও ভোটার হননি। ভোটার হতে হলে সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত হতে হবে। 

ইসি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা, জোবাইদা রহমান এখনো ভোটার হননি। ইসির তথ্যভান্ডারে সংরক্ষিত সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে তাদের দু’জনের ভোটার হওয়ার তথ্য নেই। সম্ভাব্য ভোটার এলাকা হিসাবে ক্যান্টনমেন্টের শহীদ মইনুল হোসেন রোড এবং বগুড়ার গাবতলী এবং তারেক রহমান, জোবাইদা রহমানের পিতা-মাতার নাম যোগ করে অনুসন্ধান করে তাদের ভোটার হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমানের ভোটার না হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। ভোটার তালিকা প্রণয়নের সময় বিএনপি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন কারা অন্তরীণ ছিলেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিত্সার উদ্দেশ্যে লন্ডনে যান। যদিও বিশেষ কারাগারে অন্তরীণ থাকার পরও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ভোটার হয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া ভোটার হওয়ার সময় ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন ক্যান্টনমেন্ট-১ (শহীদ মইনুল হোসেন রোডের বাসভবন)।

তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমান প্রবাসী বাংলাদেশি। ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর ১১ ধারা অনুযায়ী প্রবাসী কয়েদি, আইনগত হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা ভোটার হতে পারবেন। সাধারণ রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা সংশ্লিষ্টদের ভোটার করতে পারবেন। তবে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের এখনো পর্যন্ত ভোটার করা হয়নি। সাধারণত প্রবাসীরা দেশে সশরীরে হাজির হয়ে ভোটার হতে পারেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সহসা দেশে আসার সম্ভাবনা নেই। তবে কমিশন বৃহত্স্বার্থে প্রবাসে অবস্থিত প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। এই প্রক্রিয়ায় তিনি ভোটার হতে পারবেন। যদিও বিষয়টি অনেক কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রবাসে অবস্থিত ভোটারদের দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কেননা এনআইডি না থাকার কারণে অনেকে বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এজন্য আগামী ১৭ এপ্রিল একটি সেমিনার করা হবে। তবে বর্তমানে বিদেশে অবস্থিত প্রবাসীদের দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার করা হয়নি।

সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একদিকে তারেক ভোটার নন, অন্যদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ফলে চাইলেও আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। যদি আদালত তার সাজা স্থগিত করে, তারপরও তিনি বাংলাদেশের ভোটার না হওয়ার কারণে নির্বাচনে অযোগ্য থাকবেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনানুযায়ী কেবলমাত্র ভোটারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। 

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!