• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
তফসিল রোববার

যেভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৮, ২০১৬, ০৭:১১ পিএম
যেভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন

ঢাকা : দেশে এই প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে প্রথমবারের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ২৮ ডিসেম্বর ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের দিন ঠিক করে পূর্ণাঙ্গ তফসিল রোববার (২০ নভেম্বর) ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা জানান, চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমার জন‌্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হতে পারে। ২ ও ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হতে পারে ৯ ডিসেম্বর।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলা বাদে সারা দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে প্রায় ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এরাই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রতিনিধি রয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে। প্রতিটি ইউপিতে জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ ১৩ জন ভোটার।

সূত্র জানায়, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত নারী সদস্য থাকবেন।

স্থানীয় সরকারের অন‌্যান‌্য স্তরে দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম‌্যান বা মেয়র নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদে তা হচ্ছে না।

বাংলাদেশের যে কোনো ভোটার ২৫ বছর বয়স হলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তিনি নিজে একজন জনপ্রতিনিধি হলে পদে থেকে প্রার্থী হওয়া যাবে না।

এর আগে ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। এর থেকে আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।

গত ১৯৮৮ সালে এইচ এম এরশাদের সরকার প্রণীত স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেয়ার বিধান ছিল; পড়ে আইনটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এরপর ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের জন্য নতুন আইন করে। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে।

প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।

এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন।

সাড়ে ৪ হাজার ইউপির ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ৫৮ হাজারে। এছাড়া ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে তিনজন করে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে পাঁচ হাজার এবং ১১টি সিটি করপোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!