• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যেসব নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি


স্বাস্থ্য ডেস্ক  আগস্ট ২০, ২০১৭, ০৩:১৬ পিএম
যেসব নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি

ফাইল ছবি

ঢাকা: সম্প্রতি নারীরা ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সারে বেশি ভুগছেন। এ রোগের নারী মারা যাচ্ছেন অনেকেই। এ রোগে যেসব নারী বেশি আক্রান্ত হন তাদের নিয়ে এক ভয়াবহ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন প্রফেসর জ্যাক কুজিক এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন ডাক্তার।

তারা বলেছেন, যেসব নারীর স্তনের ঘনত্ব যত বেশি তার জেনেটিক কারণের চেয়ে শুধু এ কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অন্যদিকে যাদের স্তনের ঘনত্ব কম বা থলথলে তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম। 

প্রফেসর জ্যাক কুজিক বলেছেন, অনেক সময় শুধু এক্সরে করে বিষয়টি নির্ণয় করা যায় না। রোগের চিকিৎসার জন্য নারীদের ডাক্তারের কাছে না লুকিয়ে নিজেরই বলা উচিত যে তার স্তন ঘন না কি থলথলে। 

তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কোনো নারী যদি লজ্জায় নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন। ফলে ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। তাই তিনি এক্ষেত্রে শুধু এক্সরে’র ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আরো কিছু স্ক্রিনিং পদ্ধতি অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। 

শনিবার রাতে নারীদের সচেতন করতে এ সতর্কতা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওই চিকিৎসকরা। তারা পরিষ্কারভাবে বলেছেন, অনেক নারী পারিবারিক কারণে বা জেনেটিক কারণে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তবে এর চেয়ে বড় ঝুঁকি হলো স্তনের ঘনত্ব বা শক্ত গড়নের স্তন। 

এ বিষয়ে ডাক্তারদের একটি দল সম্প্রতি গবেষণা করেছেন। তারা তাতে দেখতে পেয়েছেন, তরুণীদের মধ্যে যারা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার জনই আক্রান্ত হয়েছে তাদের স্তনের ঘনত্ব অত্যধিক হওয়ার কারণে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব নারীর স্তনের ঘনত্ব কম বা থলথলে তাদের স্তনে ফ্যাট সেল বেশি। এ জন্য তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে কম। কিন্তু শক্ত গড়নের বা বেশি ঘনত্বের স্তনে থাকে উচ্চ মাত্রায় গ্রান্ডুলার বা গ্রন্থিযুক্ত টিস্যু। এ কারণে তাদের ঝুঁকিটা বেশি। 

গবেষণায় বলা হয়েছে, স্তনের এই ঘনত্ব নির্ধারণ করা যায় স্ক্যানিং করে। এ ছাড়া আরো উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। ওদিকে বৃটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে স্তন স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের অধীনে নারীদের নিয়মিতভাবে জিজ্ঞেস করা হয় না তাদের স্তনের গড়ন থলথলে নাকি শক্ত অর্থাৎ ঘনত্ব বেশি। 

প্রফেসর কাজিক বলেছেন, যেসব নারীর স্তনের সব স্থানে একই রকম ঘনত্ব তাদেরকে বেশি করে স্ক্রিনিং পদ্ধতি অবলম্বরে যুক্তি দিয়েছে বিজ্ঞান। এক্ষেত্রে যেসব নারীর স্তনের ঘনত্ব বেশি তাদের টিউমার সনাক্ত করতে স্ট্যান্ডার্ড মানের এক্স-রে বা ম্যামোগ্রাফিতে অনেকটা বেগ পেতে হয়। 

কারণ, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নারীর স্তনের টিস্যু ও টিউমার দু’টোই সাদা দেখায়। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির উলফসন ইন্সটিটিউট অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিনের পরিচালক প্রফেসর জ্যাক কুজিক। তিনি বলেন, এই সাদা দেখানোর কারণে অনেক ক্যান্সার শুরুতে সনাক্ত করা যায় না। ফলে এসব নারীর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তিনি এমন নারীদের ট্যামোক্সিফেন জাতীয় প্রতিরোধমুলক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে স্তনের ঘনত্ব কমে যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!