• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যৌতুক দিতে ব্যর্থ, গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা


শরীয়তপুর প্রতিনিধি মার্চ ৫, ২০১৭, ০৯:৫৪ পিএম
যৌতুক দিতে ব্যর্থ, গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

শরীয়তপুর: জেলায় খাদিজা আক্তার বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামে বৃষ্টির স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী রফিকুল ইসলাম মাদবরকে আটক করেছে পুলিশ।

খাদিজা আক্তার বৃষ্টি শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের হাশেম বেপারীর মেয়ে। সে আংগারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আটক রফিকুল ইসলাম মাদবর শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের রাজ্জাম মাদবরের ছেলে। সে শরীয়তপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আট মাস আগে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ধানুকা গ্রামের রাজ্জাম মাদবরের ছেলে রফিকুল ইসলাম মাদবরের সঙ্গে একই গ্রামের হাশেম বেপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার বৃষ্টি সম্পর্ক করে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বৃষ্টির স্বামীর পরিবার তাকে মেনে নেয়নি। গত দুই সপ্তাহ আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে বৃষ্টিকে মেনে নেয় রফিকুলের পরিবার। যৌতুকের টাকা নিয়ে প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হত।

রোববার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। বাড়ি ফিরলে ক্ষোভে বৃষ্টির স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর মিলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।

এ ব্যাপারে বৃষ্টির চাচা আবু তাহের বেপারী জানান, ওরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করে। গত ১৫/১৬দিন আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে বৃষ্টিকে মেনে নেয় রফিকের পরিবার। যৌতুক না দেয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বৃষ্টিকে মেরে ফেলছে।  

এ বিষয়ে বৃষ্টির বাবা হাশেম বেপারী বলেন, রফিকুল ও তার পরিবার আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি ওদের বিচার চাই। থানায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।

তবে বৃষ্টির স্বামী রফিকুল ইসলাম মাদবর বলেন, বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূ বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!