• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব


প্রত্যাবাসন সব সময় জটিল প্রক্রিয়া মে ১৯, ২০১৮, ০৪:৪৩ পিএম
যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব

ঢাকা : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে গঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৭ মে) বৈঠক শেষে দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করে এ বিষয়ে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তারা।  

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হয়। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক এবং মিয়ানমারের মিন্ট থোয়ে। দুই পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে বেলা ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দীর্ঘ এ বৈঠকে অংশ নেন দুদেশের ৩০ জন প্রতিনিধি।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সব সময় একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে আমরা দুপক্ষই অনুধাবন করতে পারছি যে, এটা হওয়া প্রয়োজন। যত দ্রুত সময়ে এটা সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা দুপক্ষই কাজ করে যাচ্ছি। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি ঠিক করতে আমরা বেশি বেশি বৈঠক করছি।

তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই স্থায়ী সচিব। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে কী কাজ করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্ট থোয়ে বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো আমরা চিহ্নিত করছি। এ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানাব।  

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে শহিদুল হক বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যে দুটি অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তি হয়েছে তা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা জানেন যে (মিয়ানমারের কাছে) আমরা একটি তালিকা পাঠিয়েছিলাম। সেই তালিকা যাচাই করতে যে যে ইস্যুগুলো এসেছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেওয়া তালিকা মিয়ানমার তাদের নিজেদের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই-বাছাই করবে এবং এভাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলবে।  শহিদুল হক আরো বলেন, সবচেয়ে ভালো হয়েছে যে আমরা দুপক্ষই অত্যন্ত খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পেরেছি। রোহিঙ্গাদের যাতে দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়া যায় এ ব্যাপারে দুদেশেরই সম্মতি রয়েছে।

তিনি বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠকের তারিখ এখনো চ‚ড়ান্ত হয়নি। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন ও এর টার্মস অব রেফারেন্সের সম্মতিপত্রে সই হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে সম্মতিপত্রে সই করেন দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব। এরপর গত ১৫ জানুয়ারি মিয়ানমারে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক নেইপিডোতে অনুষ্ঠিত হয়।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!