• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দমদমা ব্রিজে ফাটল


ফরহাদুজ্জামান ফারুক, রংপুর ব্যুরো মে ১৯, ২০১৮, ০৮:০১ পিএম
রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দমদমা ব্রিজে ফাটল

রংপুর  : দেশ স্বাধীনের আগে নির্মিত রংপুরের অন্যতম প্রবেশদ্বার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দমাদমা ব্রিজে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে ব্রিজ ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এতে করে সারাদেশের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করছেন পরিববহন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজের নিচে ভর্তি বালির বস্তা ঠেস দিয়ে রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ব্রিজটির ফাটল স্থানে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবুও শঙ্কা মুক্ত হতে পারছেন রংপুরের সবচেয়ে ব্যস্ততম মহাসড়কের ওপর দিয়ে পারাপার হওয়া জনসাধারণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন সারাদেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙে পড়লে যেকোনো মুহূর্তে রংপুর বিভাগ ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। দুর্ভোগে পড়বে উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ।

জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দমদমা ব্রিজটিতে ফাটল দেখা দেয়। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দরপত্র আহবান করে সড়ক বিভাগ। ২৩ লাখ টাকার বাজেটে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুই মাস সময়ে বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে ব্রিজের নিচে ঠেস দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করে মার্চ মাসে।

৩২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ শামীম অভিযোগ করেন, ব্রিজের ফাটল ঠেকাতে দায়সারা কাজ করছে সড়ক বিভাগ। কাজ শেষ হতে না হতে আবারো ফাটল দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাশেম বলেন, ব্রিজের নিচে সারি সারি বস্তা ভর্তি বালু দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে। বন্যায় এ সব বস্তা সরে গেলে এই ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ এই ব্রিজটি বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। যেকোনো সময়ে এটি ধসে পড়লে সারাদেশের সঙ্গে রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এই দমদমা ব্রিজটির ফাটল মোরামতের জন্য ২৩ লাখ টাকার কাজ করছে সড়ক বিভাগের ঠিকাদার। বস্তা ভর্তি বালু ও ট্রাকে দিয়ে মাটি ফেলে ফাটল বন্ধ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, ব্রিজের ফাটল মেরামতে আমাদেরকে যেভাবে কাজের চাহিদা দেওয়া হয়েছে, সেই ভাবে কাজ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সওজ সড়ক বিভাগ রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ব্রিজটি মেরামতের জন্য ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। সে কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডারে আহবান করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব জানিয়েছেন, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্রিজের মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!