• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রণপ্রস্তুতির মধ্যেই করমর্দন ভারত ও চীনের শীর্ষ নেতাদের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৭, ২০১৭, ০৮:২৭ পিএম
রণপ্রস্তুতির মধ্যেই করমর্দন ভারত ও চীনের শীর্ষ নেতাদের

ঢাকা: একদিকে চলছে সীমান্তে টান-টান উত্তেজনা। সৈন্য সমাবেশ ও রণ প্রস্তুতি, অপরদিকে চলছে জি-২০ শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। এই সম্মেলন চলাকালেই চীনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবেশ নেই বলে হঠাৎ করেই তা বাতিল করে চীন। কিন্তু বৈঠক বাতিল হলেও চমক অপেক্ষা করছিল বিশ্ব নেতাদের জন্য। সবাইকে অবাক করে দিয়ে করমর্দন করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভূটানের কাছে ত্রিদেশীয় সীমান্ত দোকালাম এলাকায় চীনের সেনারা একটি রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ভারত। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। দো কালা হচ্ছে ভারতীয় নাম, ভুটানে একে বলা হয় দোকালাম আর চীন একে নিজের দোংলাং অঞ্চলের আওতাভুক্ত বলে মনে করে। রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিকিম প্রদেশের সীমান্তে চীন ও ভারতীয় সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। 

এই সংঘাতময় পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগ চলার মধ্যেই চীনের পক্ষ থেকে বৈঠক বাতিল করা হয়। দুই দেশের জনগণ আশা করছিল শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে আলোচনা হলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। কিন্তু বৈঠক বাতিল হওয়ায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে এসবের মাঝেও সুখবর হলো নিজ দেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে করমর্দন করে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।

শুক্রবার(৭ জুলাই) জার্মানিতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে বৈঠকে মিলিত হন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হামবুর্গে উদ্বোধন হওয়া ব্রিকস সম্মেলনের আজ ছিল প্রথম দিন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিল এই গোষ্ঠীর অন্যতম দুই সদস্য দেশ—ভারত ও চীন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে টুইটারে জানান, ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে শি জিনপিং ও নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে। 

জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ব্রিকস-এর পার্শ্ববৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিনের ‘প্রশংসা’ করেন মোদী। বর্তমানে ব্রিকস-ব্লকের সভাপতিত্বে রয়েছে চিনের। এদিন মোদী জানান, চীনের নেতৃত্বে ব্রিকস গতি পেয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে চিনের শিয়ামেনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ব্রিকস-এর পরবর্তী সম্মেলন। সেখানে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পরই বলতে উঠে শি জিনপিংও ভারতের প্রশংসা করে জানান, ভারতের নেতৃত্বে ব্রিকস যে গতি পেয়েছে, তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চীন।

ভারত-ভুটান-চিন সীমান্ত লাগোয়া একটি ছোট্ট দোকালামের আধিপত্য নিয়ে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে গত তিন সপ্তাহ ধরে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চীন বলছে অভিযোগ, নিজেদের জমিতে তাদের সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে নয়াদিল্লিকে বলেছে চীন। যদিও, সেই দাবি খারিজ করে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, দোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!