• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন হায়াৎ মামুদ ও মিতা হক


সাহিত্য-সাংস্কৃতি প্রতিবেদক মে ৮, ২০১৭, ০১:২৮ এএম
রবীন্দ্র পুরস্কার পেলেন হায়াৎ মামুদ ও মিতা হক

ঢাকা: রবীন্দ্রসাহিত্যের গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত এবারের রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৭ পেলেন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ। আর রবীন্দ্রসংগীত চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার পেলেন শিল্পী মিতা হক।

পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও শিল্পীর হাতে পুষ্পস্তবক, সনদ, সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কারের অর্থ পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬-তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে রোববার (৭ মে) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিল্পী ফাহ্মিদা খাতুন। স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো একক বক্তৃতা অনুষ্ঠান। এতে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে একক বক্তৃতা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম। তার এ বক্তব্যের পরেই শুরু হয় রবীন্দ্র পুরস্কার ২০১৭ প্রদান।

প্রধান অতিথি বরেণ্য শিল্পী ফাহ্মিদা খাতুন বলেন, হায়াৎ মামুদ এবং মিতা হক রবীন্দ্রনাথকে তাদের চর্চা ও সাধনার বিষয় করে রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৭ অর্জন করেছেন। রবীন্দ্রপথে তাদের এ নিরন্তর যাত্রা উত্তরপ্রজন্মকে রবীন্দ্রচর্চায় উৎসাহিত করবে।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে রবীন্দ্রচর্চা আজ মর্যাদাপূর্ণ পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে। রবীন্দ্র পুরস্কারের মধ্য দিয়ে দেশের গুণী রবীন্দ্রগবেষক এবং শিল্পীরা তাদের কৃতির স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এ আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।

‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: আধুনিকতা ও জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় অধ্যাপক ফকরুল আলম বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও দর্শন মানব-অনুভবের গভীর তলদেশগামী। তিনি প্রচলিত আধুনিকতা পেরিয়ে ভূমিজ আধুনিকতার সাধনা করেছেন। রুখে দাঁড়িয়েছেন আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের ধারণা। রবীন্দ্রনাথ পাশ্চাত্য আধুনিকতার সদর্থক ধারণাকে গ্রহণ করেছেন আবার পশ্চিমের যান্ত্রিক আধুনিকতা থেকে মুক্তি কামনা করেছেন। তার সৃষ্টির পর্বে ও পর্বান্তরে সবসময় ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে। মানবিকতার মহৎ মূল্যবোধকে অবলম্বন করেই তিনি সহজিয়া আধুনিকতার পরিসর সৃষ্টি করেছেন।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, এই আবিলতাপূর্ণ সময়ে রবীন্দ্রনাথ তার কালজয়ী রচনায়, সংগীতে ও জীবনাদর্শে মধ্য দিয়ে আলোকদিশারী হিসেবে প্রেরণা দিয়ে চলেন। তিনি বলেন, গুণী গবেষক হায়াৎ মামুদ এবং প্রিয় শিল্পী মিতা হক বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার-২০১৭ অর্জন করেছেন; তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন।

এর আগে যারা বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত এ রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা হলেন- শিল্পী কলিম শরাফী এবং অধ্যাপক ড. সন্জীদা খাতুন (২০১০); আহমদ রফিক এবং শিল্পী অজিত রায় (২০১১); অধ্যাপক আনিসুর রহমান, শিল্পী ফাহ্মিদা খাতুন এবং শিল্পী ইফ্ফাত আরা দেওয়ান (২০১২); অধ্যাপক ড. করুণাময় গোস্বামী এবং শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার (২০১৩); মনজুরে মওলা এবং শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা (২০১৪); অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা এবং সাদী মহম্মদ (২০১৫) এবং সৈয়দ আকরম হোসেন এবং শিল্পী তপন মাহমুদ (২০১৬)।

সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন নিমাই চন্দ্র মণ্ডল। সংগীত পরিবেশন করেন মীরা মণ্ডল। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন পিনুসেন দাশ, সুনীল চন্দ্র দাস, তানভীর সজীব এবং রিচার্ড কিশোর।

সোনালীনিউজ/এন 

Wordbridge School
Link copied!