• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রমনার বটমূলে গানে গানে সম্প্রীতির বাণী


সাহিত্য-সাংস্কৃতি প্রতিবেদক এপ্রিল ১৪, ২০১৭, ০৪:১৭ এএম
রমনার বটমূলে গানে গানে সম্প্রীতির বাণী

ঢাকা: পহেলা বৈশাখের আয়োজনে প্রধান আকর্ষণ রমনা বটমূল। প্রতি বছর অনন্য এক আয়োজনে ভরিয়ে দেয় বাঙালির নতুন বছরের প্রথম সকালটা। কেবল রমনার বটমূল কিম্বা ঢাকাবাসীর নয় এর সুরের সুরভী যেন ছড়িয়ে গেছে সবখানেই। এবার ছায়ানটের প্রভাতী এ আয়োজনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হচ্ছে। এবারের আয়োজনে গানে গানে বলা হবে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির কথা। এ আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য- ‘আনন্দ, বাঙালির আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও অসাম্প্রদায়িকতা’।

১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ছায়ানট। এর ছয় বছর পর ১৯৬৭ সালে রমনা বটমূলে শুরু হয় বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন। এ আয়োজনে চালানো হয়েছিল বোমা হামলা। 

এবার আয়োজন শুরু হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। সরোদিয়া রাজরূপা চৌধুরীর সরোদের সুরে ভোরের রাগালাপে শুরু হবে অনুষ্ঠান। গাওয়া হবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুল প্রসাদ ও রজনীকান্ত সেনের গান। সে সঙ্গে মানবিকতার আবাহনে গীত হবে বাউলসাধক লালন সাঁইয়ের গান। 

ছায়ানটের শিল্পী-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীশিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হবে দশটি সম্মেলক গান। একক কণ্ঠে গাওয়া হবে ১৪টি গান। সব মিলিয়ে পরিবেশনায় অংশ নেবেন ১৬০ শিল্পী। ১৯৬৭ সালের প্রথম বর্ষবরণে সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয়েছিল ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও’। এবারও সে গানটি থাকছে। সম্মেলক ও একক কণ্ঠে গাওয়া হবে ‘আননধ্বনি জাগাও গগনে’, ‘ওরে বিষম দরিয়ার ঢেউ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘ভোরের হাওয়ায় এলে ঘুম ভাঙাতে’, ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী’ ও ‘উদয়শিখরে জাগে মাভৈ মাভৈ’সহ নানা গান। একক কণ্ঠে গান শোনাবেন চন্দনা মজুমদার, খায়রুল আনাম শাকিল, মিতা হক, ইফফাত আরা দেওয়ান, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি প্রমুখ। থাকবে কবিতা আবৃত্তিও।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে শুভেচ্ছাকথনে অংশ নেবেন ছায়ানট সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন। তার শুভেচ্ছাকথন শেষে কিছুটা বিরতি দিয়ে শুরু হবে বর্ষবরণের পঞ্চাশ বছর পূর্তির বিশেষ আয়োজন পালা গান ‘দেওয়ানা মদিনা’। পরিবেশন করবেন নেত্রকোনার দিলু বাউল ও তার দল।

আয়োজন সম্পর্কে ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, দেশজুড়ে এখন নতুন করে জঙ্গিবাদ-উগ্রপন্থা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এ অস্থির সময়ে আমাদের এবারের আয়োজন থেকে উচ্চারিত হবে সম্প্রীতির বারতা। মনের আনন্দে আবাহন করা হবে বাঙালির আত্মপরিচয়ের গৌরবকে। এবার আশা করছি, অন্য যে কোনো বারের চেয়ে বেশি লোকসমাগম হবে। আমরাও আহ্বান জানাচ্ছি সবাইকে, টেলিভিশনে নববর্ষের অনুষ্ঠান উপভোগ না করে ইতিহাসের সাক্ষী হতে সবাই যেন হাজির হন পঞ্চাশতম বর্ষবরণে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!