• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রশিদ-মুজিবরাই কী মাশরাফিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ?


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮, ০৯:০৭ পিএম
রশিদ-মুজিবরাই কী মাশরাফিদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ?

ফাইল ছবি

ঢাকা: এশিয়া কাপে একটা দলই এখনও অবধি অপরাজিত আছে। ভারত। তারা যেমন মাঠে ‘দাদাগিরি’ দেখাচ্ছে একইভাবে মাঠের বাইরেও। দুবাই ছাড়া তাদের নড়াচড়া করতে হচ্ছে না। সেখানেও আবার আলাদা হোটেলে থাকছে। মানে সবরকম সুবিধা নিচ্ছে ভারত। সবচেয়ে ভালোও খেলছে রোহিত শর্মারা। আর বাকি দলগুলোকে আজ দুবাই তো কাল আবুধাবি করতে হচ্ছে। ফলে ভ্রমণক্লান্তি তো থাকছেই।

রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আবুধাবিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। দু’দলের জন্যই ম্যাচটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ভারতের কাছে হেরেছে। আফগানিস্তান শেষ ওভারে গিয়ে পাকিস্তানের কাছে বশ্যতা মেনে নিয়েছে। পার্থক্যটা হলো ভারতের কাছে বাংলাদেশ স্রেফ উড়ে গেছে। আর আফগানিস্তান পাকিস্তানের কাছে লড়াই করে হেরেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই টুর্নামেন্টে এখনও অবধি দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়ে চলেছে আফগানিস্তান।

শেষ দুটি ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল জঘন্য। ২০০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি মাশরাফির দল। অথচ আফগানিস্তান উল্টোটাই করে দেখাচ্ছে। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে তাদেরকে দারুন শুরু এনে দিচ্ছেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহসানউল্লাহ। আফগানদের মিডল অর্ডার খেলাটাকে ধরে রাখছে। যার ফায়দা তোলা হচ্ছে শেষ ১০ ওভারে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দলটি শেষ ১০ ওভারে রান তুলেছে যথাক্রমে ৯৭ ও ৮৭। এখান থেকেই আফগানদের পরিকল্পনা পরিস্কার বোঝা যায়, ভালো শুরুর পর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ৪০ ওভার অবধি ম্যাচটিকে নিয়ে যাবে উইকেট বাঁচিয়ে। এরপর ১০ ওভার পিটিয়ে রানটাকে ২৫০ প্লাস করা যায় অনায়াসেই। এটাই করে আসছে আফগানিস্তান।

দারুন ব্যাটিং করছেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি। এখনও অবধি তিনি তিন ম্যাচ থেকে ১৯২ রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর মতো বাকিদের আর কেউই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। রহমত শাহ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭২ ও আসগার আফগান পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৭ রান করেছেন। তবে আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছে তাদের স্পিনাররা। মুজিবুর রহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীকে খেলাটা বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বলে ব্যাটে বাংলাদেশকে এক হাতে শেষ করে দিয়েছেন রশিদ খান।

বাংলাদেশের জন্য আফগান ত্রিমূর্তীকে সামলানোটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শুরুর দিকেই যখন আক্রমণে আসছেন মুজিবুর। এটি আরও কঠিন করে তুলেছে তামিম ইকবালের ছিটকে যাওয়া। তাঁর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ যে ভুগছে সেটি তো পরপর দুই ম্যাচেই দেখা গেল। তরুণ লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেনরা ব্যর্থতার বৃত্ত পূরণ করে ফেলেছেন। প্রচণ্ড হতাশ হয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট দেশ থেকে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমিরাতের বিমানে উঠে গেছেন ইমরুল-সৌম্য। টপ অর্ডারের টানা ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে সৌম্য-ইমরুল সুযোগ পেতে পারেন।

আফগানিস্তান দল (সম্ভাব্য): মোহাম্মদ শাহজাদ, ইহসানউল্লাহ, রহমত শাহ, আসগর আফগান (অধিনায়ক), হাসমতউল্লাহ শাহিদি, মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, গুলবাদিন নাঈব, রশিদ খান, আফতাব আলম, মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ দল (সম্ভাব্য): লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!