• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাউধা আত্মহত্যা করেছিল: আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন


রাজশাহী প্রতিনিধি অক্টোবর ১৭, ২০১৭, ০৯:২৬ পিএম
রাউধা আত্মহত্যা করেছিল: আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন

ফাইল ফটো

রাজশাহী: রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেল রাউধা আতিফ আত্মহত্যা করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আসমাউল হক তাদের কাছে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই প্রতিবেদন তারা রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত-১ এ উপস্থাপন করেন বলে জানান তিনি।

আবুল হাশেম আরো জানান, রাউধা আতিফ হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি, এমনকি রাউধাকে হত্যা করা হয়েছিল এমনটিও বলা হয়নি। তাই বাদীপক্ষের আইনজীবী এই প্রতিবেদনে নারাজি দিতে চান। এ জন্য তিনি বিচারক মাহবুবুর রহমানের কাছে সময় প্রার্থনা করেন, তবে এ বিষয়ে আদালত এখনো কোনো আদেশ দেয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আসমাউল হক বলেন, দুই দফা ময়নাতদন্ত, ভিসেরা রিপোর্ট ও মোবাইল ফোন পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, মডেল রাউধা আতিফ আত্মহত্যাই করেছিলেন। এরপরই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, তদন্ত শেষে এবং আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আগে বিষয়টি রাউধার বাবা মোহাম্মদ আতিফকেও জানানো হয়েছে। এর আগে দুই দফার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও রাউধা আত্মহত্যা করেছিলেন বলে বলা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, মালদ্বীপের শাহী গণি নামে এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক পড়াশোনার জন্য লন্ডনে থাকেন। প্রেমে ব্যর্থ হয়েই রাউধা আত্মহত্যা করেছিলেন।

রাউধার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে জানা গেছে, শাহী গণির সঙ্গে রাউধার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলেন তিনি। আত্মহত্যার আগের রাতেও ওই যুবকের সঙ্গে রাউধার কথা হয়েছিল।

চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাজশাহীর নওদাপাড়ায় ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে মালদ্বীপের নীলনয়না ও বিখ্যাত ভোগ ম্যাগাজিনের মডেল রাউধা আতিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রাউধার মৃত্যুর দিনই কলেজ কর্তৃপক্ষ শাহমখদুম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে এবং লাশের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রাজশাহীতে দাফন করা হয়।

ওই সময় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাউধা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এরপর রাজশাহীতে ঘটনা তদন্ত করতে আসেন মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

তখন ওই ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছিল সেই তদন্ত কমিটি।

তবে রাউধার বাবা মোহাম্মদ আথিফ এসব প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে গত ১০ এপ্রিল রাজশাহীর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রাউধার সহপাঠী ভারতের কাশ্মিরের মেয়ে সিরাত পারভীন মাহমুদকে একমাত্র আসামি করা হলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পরে গত ১৪ এপ্রিল হত্যা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয়বারের মতো রাউধার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে বলা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

মামলা করবেন রাউধার বাবা

Wordbridge School
Link copied!