• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্র

রাখাইনে জাতিগত নিধনে সেনাবাহিনীকে দায়ী করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০৩:০০ পিএম
রাখাইনে জাতিগত নিধনে সেনাবাহিনীকে দায়ী করুন

ঢাকা : রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন চালানোয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বানন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমারের নেত্রী সু চিকে চাপে রাখারও আহ্বান জানানো হয়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘গণহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা (মিয়ানমার প্রশাসন) নিরাপত্তা পরিষদসহ কোনো সংস্থা বা ব্যক্তিকে রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন চালানো হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছে।’ তাদের এ দাবিকে ‘উদ্ভট’ বলেও আখ্যা দেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন করায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতারের নিন্দা জানান হ্যালি। তিনি দ্রুত তাদের ছেড়ে দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির সরকার গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্প্রতি রয়টার্সে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রাখাইনের ইন দিন গ্রামে নিরপরাধ রোহিঙ্গাদের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি বৌদ্ধ গ্রামবাসীরাও এতে অংশ নেয়। নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিবেদনটি তুলে ধরে রাখাইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া দেলাত্রে।

তবে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ভিন্নমত পোষণ করেছে মিয়ানমারের মিত্র চীন ও রাশিয়া। রাখাইনের পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে দুই দেশ। মিয়ানমারে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে দায়ীদের শনাক্ত ও ভর্ৎসনার মাধ্যমে সমাধান আসতে পারে বলে উলে­খ করেছেন রুশ প্রতিনিধি।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিসংঘ এটিকে জাতিগত নিধন অভিযান হিসেবে উল্লেখ করেছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযানের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের প্রত্যাবাসনে সম্প্রতি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!