রাগীব আলীকে ফেরত দিল ভারত

ঢাকা: সিলেটে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলার পলাতক আসামি ব্যবসায়ী রাগীব আলীকে গ্রেপ্তারের পর ফেরত দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে সিলেটের বিয়ানিবাজারের সুতারকান্দি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

আদালতে হাজির করার জন্য পুলিশ রাগীব আলীকে নিয়ে সিলেটের পথে রওনা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা। এর আগে সকালে দেশে ফেরার পথে ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ, মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আসামি করা হয় রাগীব আলী, তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির ও মেয়ে রুজিনা কাদিরকে।

মামলায় গেল ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাইসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেটের আদালত। আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দিনই রাগীব আলী সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান। প্রায় তিনমাস পর গত ১২ নভেম্বর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মামলা সূত্রমতে, ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা সিলেটের তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। সিলেটের জেলা প্রশাসনকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে গত ১৫ মে চা-বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়াও ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।

সিলেটের ব্যবসায়ী রাগিব আলীকে ভারতে গ্রেপ্তার

সোনালীনিউজ/এমএন