• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজকন্যা র‌্যাপাঞ্জেল, কেশবতীর গল্প


ঢাবি প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৭, ২০১৬, ০৫:৪২ পিএম
রাজকন্যা র‌্যাপাঞ্জেল, কেশবতীর গল্প

ঢাকা: খুব সাধারণ একটা মেয়ে ইজু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে আর দশটা মেয়ের মতোই বন্ধু-বান্ধব ও স্টাডি নিয়ে ব্যস্ত। পড়াশুনা শেষ করে একটা চাকরি তো সবার মতোই প্রত্যাশা ছিল ইজু। কিন্তু কিছু ব্যাপার হঠাৎ করেই মানুষের জীবনের রঙিন স্বপ্নঘুড়ি মেঘমুক্ত আকাশে সগর্বে উড়তে শুরু করে। ইজুর ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই। যদিও ব্যাপারটা অতো সহজ ছিল না। প্রকৃতির সঙ্গে আত্মবিশ্বাসে সৃষ্টি করেছে নতুন কিছু।

ছোটবেলা থেকেই ইজুকে কেশবতী কন্যা বলেই ডাকতেন সবাই। মিষ্টি একটা মেয়ের ঘন কালো চুলে সবারই চোখ আটকে যেতো। অনেকে এর রহস্য জিজ্ঞাসা করতো তাকে। তখন হয়তো বোঝেনি তার নানির হাতে বানানো নারিকেল তেল তার জীবন আমূল বদলে দেবে। কিন্তু আজ বোঝেন। তাই প্রকৃতির বিশুদ্ধতায় নানির দেয়া সেই ফরমুলায় নিজেই বানিয়ে ফেলেন অসাধারণ এক হেয়ার অয়েল।

কিন্তু তেল বানিয়ে নিজেই কেশবতী হলেই তো তার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তাই প্রথমে এটা নাম দিলেন। কিন্তু কি নাম দেয়া যায়? অনেক ভেবে নাম ঠিক করলেন ‘র‌্যাপাঞ্জেল সিক্রেট হেয়ার অয়েল’। শুধু নাম দিলেই হবে না এটা পৌঁছে দিতে হবে সব নারীর হাতে হাতে।

প্রথমে ইজু তেলটি বান্ধবীদের কাছে বিক্রি শুরু করেন। এরপর চিন্তা ভাবনা ডানা মেলে। ভাবনা শুরু করেন এটা কীভাবে আরোও বড় পরিসরে করা যায়। 

শুরুর দিকে ফেসবুক দিয়ে প্রচার করেন। তবে কিছুদিন পরই অর্ডার, ডেলিভেরি সব নিয়ে বেসামাল অবস্থায় পড়ে যায়। এরপর শপআপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পান। যার ক্ষুদ্র অনলাইন ব্যবসার প্রসারে সহায়তা করেন। কতগুলো অর্ডার এলো। ডেলিভেরি, অর্ডার নিশ্চিত করা। ফেক ক্লায়েন্টও বোঝার ব্যাপারটা সহজে ধরা ইত্যাদি।

২০১২ সালের ইজু যখন শুরু করছিল পেইজে অর্ডার এসেছিল মাত্র তিনটি। হয়তো তখন মনটা একটু খারাপই হয়েছিল। প্রত্যাশার চেয়ে অর্ডারটা কমই বটে। কিন্তু ইজু ভাবতেই পারেনি মাত্র ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ‘র‌্যাপাঞ্জেল সিক্রেট অয়েল’ তার স্বপ্নকে পেরিয়ে আকাশ ছুঁবে।

বর্তমানে ইজুর প্রতি মাসে এক হাজারের (১০০০) বেশি অর্ডার আসে। ক্রেতা বেড়েই চলেছে। তেল তৈরির যাবতীয় উপাদান ইজু নিজেই সংগ্রহ করেন এবং নিজেই তৈরি করেন। এতে ‘র‌্যাপাঞ্জেল সিক্রেট হেয়ার অয়েলে’র কোয়ালিটি থেকে গেছে আগের মতোই নিখাদ। আর কখনোই কাস্টমারদের কাছ থেকে কোনো নেগেটিভ কথা শুনতে হয়নি। আর শুনতে হবেই বা কেন? প্রকৃতির বিশুদ্ধতা আর নিজের হাতের মমতায় তৈরি করা তেল সত্যিই চুলপড়া রোধ ও চুলের নানাবিধ সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ করে।

ইজুর উদ্যোগকে আরও ছড়িয়ে দেয় ‘শপ আপ’ নামের প্রতিষ্ঠানটি । তারা ইজুর মত আরও অনেকের স্বপ্নকে পৌঁছে দিচ্ছে সবার হাতে হাতে। এ জন্য বেশ কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন ইজু। এ প্রসঙ্গে ইজু বলেন, ‘এ শপ আপ এর কারণে আমার পরিচিতিটা বাড়তে থাকে। না হলে আমার এ আবিষ্কার হয়তো অন্ধকারে পড়ে থাকতো। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই।’

সাহসী আর আত্মপ্রত্যায়ী ইজু গড়ে তুলেছেন সফল একটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সামাজে অনেক ইজু আছেন। কিন্তু ইজুর মতো আত্মবিশ্বাসের অভাবে পারেন না তারা কিছু করতে। আসুন ইজুর মতো শুরু করুন। আর হয়ে যান একটি প্রতিষ্ঠানে মালিক। আপনার আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্নপূরণে পাশে থাকবে ‘শপ আপ’।

ইজুর অনলাইন স্টোর দেখার লিং:https://www.youtube.com/watch?v=jlqRhMBMmEg অথবা ওয়েবসাইট: https://shopup.com.bd/shop/33/products ফেন পেইজ: https://www.facebook.com/ShopUpNow/ সরাসরি কল বা ম্যাসেজ: +৮৮০-১৮৭৩-৪৪৫৫৫৫।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!