• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্যাকেজ ভ্যাট প্রত্যাহারে দাবি 

রাজধানীতে কাল সব দোকানপাট বন্ধ


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৩১, ২০১৬, ০৭:৫৪ পিএম
রাজধানীতে কাল সব দোকানপাট বন্ধ

ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হয়রানি বন্ধ ও বর্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর সব ধরনের দোকানপাট সকাল-সন্ধ্যা বন্ধ রাখবেন ব্যবসায়ীরা।

আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), এনবিআর, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঐক্য ফোরামের নেতারা।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। একই দাবিতে তারা সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

এ প্রসঙ্গে আবু মোতালেব বলেন, এতদিন রুটি-বিস্কুট, হাওয়াই চপ্পল কর অব্যাহতি সুবিধা পেত। কিন্তু চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রতি কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের পাউরুটি, বনরুটি, হাতে তৈরি কেক, বিস্কুট এবং ১২০ টাকা পর্যন্ত রাবারের হাওয়াই চপ্পল, প্লাস্টিকের পাদুকার ওপর কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের এই নেতা আরো বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যবসা খাতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান এবং এনবিআরের কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধের জন্য এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে একাধিবার এনবিআরের সঙ্গে বসা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তারা আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এনবিআর হয়রানি করছেই। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এনবিআরের কর্মকর্তারা এসে দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছেন এবং ফাইল-খাতাপত্র নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান মোতালেব।

ব্যবসায়ীরা বলেন, জাতীয় স্বার্থে আমরা ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া ও এনবিআর কর্মকর্তাদের অযৌক্তিক হয়রানির প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে আগামী বুধবার ঢাকা মহানগরীর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করা হবে। ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পণ্য বিক্রি করা হবে না। তবে আমরা রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর বা এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করব না।

ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের এই নেতা বলেন, এফবিসিসিআই আমাদের মাদার প্রতিষ্ঠান। আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে এফবিসিসিআই আমাদের দাবি আদায় করে দিতে না পারলে প্রথমে এফবিসিসিআই কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। তারপর এনবিআরের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও আমরা ঘেরাও করব।

সোনালীনিউজ/এমএন 

Wordbridge School
Link copied!