ঢাকা: রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী এলকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও তেজাগাঁও শিল্পাঞ্চল ও তেজতুরি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জাল পরিচয়পত্র ও সার্টিফিকেট তৈরী চক্রের আরও ৪ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(১৯ অক্টোবর) কোতায়ালী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক ডাকাত চক্রের সদস্যরা হলো, মশিউর রহমান লিটন (৪৫), মো. মিজান (৪০), মো. আলী শেখ (৩৮), মনির হোসেন (৩৮), মো. বাবুল (৪৮), মো. জাহাঙ্গীর (৩৬), মো. আতাউর রহমান ওরফে আতি (৪৪) ও মো. জয়নাল (৫০)। তারা কোতায়ালী থানায় দায়েরকৃত একটি ডাকাতি মামলার আসামী।
কোতয়ালী থানা পুলিশ জানায়, গত ৮ অক্টোবর বিকেলে কোতয়ালীর হাজী লাট মার্কেটের ফল ব্যবসায়ী হাজী সামছুউদ্দিন দোকানের ফল বিক্রির ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য দোকানের ৫ জন কর্মচারীকে বাদামতলী থেকে ইসলামপুর পাঠান। কর্মচারীরা টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে বাদামতলী নৌ-পুলিশ জেটির সামনে পৌঁছালে ডাকাতদল টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে নারায়নগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় দোকানের ম্যানেজার হাজী মো. মনোয়ার রহমান ওরফে মিঠু বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় ডাকাতি মামলা করেছেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৪ অক্টোবর কামরঙ্গীরচর থেকে ডাকাত সর্দার ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় গত ১৭ অক্টোবর রাত থেকে টানা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ৪টি চাকু, ৮টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে বুড়িগঙ্গা নদী ও তার আশপাশ এলাকায় ডাকাতি করে আসছে। তাদের প্রত্যেকের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, সূত্রাপুর এবং শ্যামপুরসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
এদিকে রাজধানীর তেজাগাঁও শিল্পাঞ্চল ও তেজতুরি বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, সার্টিফিকেট প্রস্তুতকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের রোবারি প্রিভেনশন টিম।
তারা হলো মো. ওয়াসিম আকরাম (২২), মো. শাহাদাৎ হোসেন (২২), মো. মিজানুর রহমান মৃধা (২১) ও মহসিন হোসেন (৩০)। তাদের কাছ থেকে ৭২টি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, ৩২টি এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট, ৩টি সিপিউ, ৩টি কম্পিউটার মনিটর, ৩টি প্রিন্টার ও ১টি লেমিনেটিং মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/আতা
আপনার মতামত লিখুন :