• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮ জন

রাজধানীতে ডেঙ্গু ছড়ানোর শঙ্কা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২০, ২০১৮, ০১:২০ পিএম
রাজধানীতে ডেঙ্গু ছড়ানোর শঙ্কা

ঢাকা : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এক অভিযানে ১৮টি বাড়ির মধ্যে ১১টিতেই এডিস মশার লার্ভা পান তারা। তাদের হিসাবে প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানী ঢাকায় বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব বাড়ে। এ সময়কে ডেঙ্গু জ্বরের মৌসুম ধরা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আগাম বৃষ্টি হওয়ায় মশার উপদ্রবও বাড়ে আগে আগে। তারপর থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকছে। আর এসব স্থানেই বংশবিস্তার করে এডিস মশা। বর্ষা মৌসুম এডিস মশার বিস্তার ও প্রজননের সবচেয়ে অনুকূল সময়। ফলে ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ও বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।  

তারা মনে করেন, কর্তৃপক্ষের আগাম সতর্কতা ও নগরের বাসিন্দাদের সচেতনতা ডেঙ্গুর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতার বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সতর্ক। মশা নিধনের দায়িত্বে থাকা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত সমন্বয় করছে। সিটি করপোরেশন ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে এবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হবে না বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হন। এর মধ্যে আছে গুলশান, বনানী, বারিধারা, রমনা, ইস্কাটন, ধানমন্ডি ও কলাবাগান। এসব এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, মশার উপদ্রব বাড়ছে। থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে মশার প্রজননও বাড়ছে। মশা বাড়লেও সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম তেমন চোখে পড়ছে না।  

ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন গত ১৯ মার্চ এক সভায় এডিস মশার জীবাণু পেলে বাড়ির মালিককে জেল ও জরিমানা করার ঘোষণা দেন। এ কার্যক্রম নিয়মিত চলছে না বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বাসিন্দা। তবে ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান, এডিস মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রমও নিয়মিত চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ন্যাশনাল হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকালে যোগাযোগ করা হলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮ জন। গতকাল বিকাল পর্যন্ত কন্ট্রোল রুমে আসা তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ডেঙ্গুর ১৫ রোগী। ঢাকার বাইরের দুটি হাসপাতালে ভর্তি আছে ২ জন।

কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত মোট ১৫৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। সবশেষ গত ৮ জুন ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে থাকাবস্থায় মারা যান সোনালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফারা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!