• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনীতির অনুঘটক আল্লামা শফী


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৬, ২০১৭, ০৫:২২ পিএম
রাজনীতির অনুঘটক আল্লামা শফী

ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ, মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান, ১৩ দফা দাবি, সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা শফী মূলত একজন শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক। এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে পরিচালিত অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমির।

আল্লামা শফী ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের বেশির ভাগ সময়েই কাটাচ্ছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে। তার মাদরাসা ও মাদরাসা সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড নিয়েই তার যত ব্যস্ততা।

তবে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর আর কিছু সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আল্লামা শফী একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা ও স্বাধীনতাবিরোধিতার উদ্দেশ্যে রাজাকার বাহিনী গঠন করেছিলেন। যদিও হেফাজতে ইসলামের পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল জুনায়েদ বাবুনগরী এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে অস্বীকার করে আসছেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মুহতামিম হওয়ার পরই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন আল্লামা শফী। নানা চেষ্টা আর পরিশ্রমের পর ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম তৈরি করেন। পরে এর সার্বিক কর্তৃত্বও নিয়ে নেন। এক পর্যায়ে হেফাজতে ইসলাম পরিণত হয় এক ব্যক্তি, এক নেতার সংগঠনে।

মূলত অনসৈলামিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ও ইসলামী প্রচারণার জন্যই আল্লামা শফি ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ গঠন করেছিলেন। তার আগে ভারতে বাবরী মসজিদ ধ্বংস, ফারাক্কা বাঁধ, তাসলিমা নাসরীন ইস্যু, সরকারের ফতোয়া বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আল্লামা শফি ছিলেন প্রথম সারিতে। ওই সময় মরহুম শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকসহ (মুহাদ্দিস, খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা) শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন আন্দোলন করে।

দোয়া নিচ্ছেন এরশাদ

সর্বশেষ গেল ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকার মতিঝিলে মহাসমাবেশ করে হেফাজত। সেখানে ‘নাস্তিক' ব্লগারদের ফাঁসি, ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধসহ ১৩ দফা দাবি তোলে। সেসব দাবির অনেকগুলোই নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপত্তিকর হিসেবে বিতর্কিত হয়।

অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এভাবেই আলোচিত আর সমালোচিত হয়ে ওঠে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হেফাজতে ইসলামের এই আমির আল্লামা শফীর কদর অনেক বেশি। মূলত, স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে এখন বড় এক অনুঘটক হিসেবে দেখা দিয়েছেন আল্লামা শফী। ক্ষমতা প্রত্যাশী যে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি এখন প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শক্তি।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!