• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক হামলার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২৩, ২০১৭, ০৯:১৩ পিএম
রাজনৈতিক হামলার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা

ঢাকা: বিশ্বে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে কী না করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র? ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়ার পর এবার উত্তর কোরিয়ার দিকে নজর দিয়েছে তারা। শুধু কি এখানেই শেষ? বিশ্বের প্রত্যেক আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনেই রয়েছে তাদের হাত।

এবার তাদের ওই নোংরামি আর বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক হামলার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন বিজ্ঞানীরা। তাও আবার এই আন্দোলনের মূল ভূখণ্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রেই।

ওয়াশিংটন

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির সংবাদে বলা হয়, ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে বিজ্ঞানীরা এই প্রথম বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে মাঠে সোচ্চার হলেন। এ বিক্ষোভে তাদের মুখে ছিলো পরিবেশকে আরো সুন্দর করতে হবে। ধ্বংস করা যাবে না।

লন্ডন

আয়োজকরা বলছেন, আমরা বিজ্ঞানকে উদযাপন করতে চাই। বিজ্ঞানই বিশ্বের মঙ্গল চায়, বিজ্ঞানই বিশ্ব রক্ষার পিছনে কাজ করে যাচ্ছে। তারা বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে বিক্ষোভ করছি তার মানে এই নয় যে আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেমেছি। বিশ্বকে যারা অস্থীতিশীল করেছে, দুষিত করে তুলছে বা বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে।

জেনেভা

ওয়াশিংটনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের পরিচালক ড. জোনাথন ফোলি বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে বিশ্বে এই রাজনৈতিক হামলাগুলো হলো মানুষের ওপর নিপীড়ন। এর কোনো যৌক্তিক উত্তর নেই।’

ড. জোনাথন ফোলি আরো বলেন, ‘এই হামলাগুলো নির্দিষ্টভাবে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে। এগুলো মানুষের অর্থাৎ আমাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং পরিবেশের বিরুদ্ধে। বিজ্ঞান এই অসহায় দুর্বল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। এসব হামলার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ জীবনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে প্রতিনিয়ত।’

অস্ট্রেলিয়া

এসব হামলার কারণে প্রতিনিয়তই বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। যার ফলে মানুষকে ঝুঁকতে হচ্ছে ওষুধের দিকে যার কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও বাড়ছে। এসব করণেই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে।

লন্ডন

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিজ্ঞানীরা অস্ট্রেলিয়ার ভিয়েনা, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এবং যুক্তরাষ্ট্রের লন্ডনে বিক্ষোভ করেন। ওয়াশিংটনের বিক্ষোভটি হোয়াইট হাউজের সামনে গিয়ে শেষ হয়। যখন ট্রাম্প অফিস করছিলেন।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!