• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজাকারের তালিকায় মকবুল, ৭-১১ হত্যার অভিযোগ


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৬, ০৯:১০ পিএম
রাজাকারের তালিকায় মকবুল, ৭-১১ হত্যার অভিযোগ

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

মকবুল আহমাদের নাম রাজাকারের তালিকায় রয়েছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের। তারা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন জামায়াতের এই নতুন আমিরের বিরুদ্ধে সাত থেকে ১১ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্ত স্পষ্ট।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান।

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের বিষয়ে এখনই সবকিছু আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার কাছে এতোদিন অভিযোগ ছিল না। একটি অনলাইনে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন তারা। হান্নান খান আরো জানান, এখনও প্রাথমিক তদন্ত চলছে। মকবুলের বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে কিনা সেটা সিদ্ধান্তের বিষয়।

ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নানের অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন মকবুল। তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ফেনী যান ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা।

মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। ফেনী মডেল হাইস্কুলে শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরই জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গ্রামের বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি।

জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তারের পর বিগত প্রায় ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় আত্মগোপনে থেকেই দল পরিচালনা করেছেন।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে যুদ্ধাপরাধে দল হিসেবে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। সর্বশেষ সংগঠনের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের রায়ে জামায়াতকে একটি ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!