• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজাপুরের মেঠোপথে শিশির ভেজা ওবায়দুল কাদের!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক নভেম্বর ২০, ২০১৬, ০৮:৪৯ পিএম
রাজাপুরের মেঠোপথে শিশির ভেজা ওবায়দুল কাদের!

ঢাকা: ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো গ্রাম। গ্রামের কাঁচা-পাকা রাস্তা কিংবা মেঠোপথে তখনও মানুষের চলাচল শুরু হয়নি। কিন্তু কাক ডাকা সেই ভোরে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। ফুল হাতা টি-শার্ট। মাথায় ক্যাপ। পায়ে কেডস্‌। যেন রমনা পার্কের চিরচেনা সেই প্রাতঃভ্রমণ!

কারণ ভোরে রমনা পার্কে নিয়মিত হাঁটেন তিনি। এই তিনিই এখন নিজ গ্রামে, রাজাপুরে। বলছি, সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথা। রোববার (২০ নভেম্বর) ভোরে গ্রামের মেঠোপথে নিয়মিত কুয়াশায় মোড়ানো ভোরের আলোর সঙ্গে হঠাত-ই হাঁটছেন ওবায়দুল কাদের। এই রাজাপুরে তিনি মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নন! এই গ্রামের ছেলে-সন্তান।

তাঁর এমন হঠাৎ বেরিয়ে পড়ার উদ্দেশ্য নিজ গ্রামের স্বজন আর পরিচিতজনদের সঙ্গে মোলাকাত! অনেকদিন যে দেখা হয়নি কারোর সঙ্গেই। বিশেষ করে নতুন ‌‘পরিচয়’ পাবার পর।

কাকডাকা ভোরে গ্রামের রাস্তায়

ওবায়দুল কাদের, এই রাজাপুর গ্রামে জন্মেছেন। নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার গ্রামটিতেই ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা নিতে গিয়ে গত দু’দিন ধরে নিজবাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।

হাঁটতে হাঁটতে পথের ধারে দোকানের গরম গরম রুটি আর লাল চায়ে চুমুক দিচ্ছেন। সঙ্গী তখন গ্রামের মানুষই। সামনে পরিচিত যাকে পাচ্ছেন, তাকেই কাছে টেনে নিচ্ছেন। কোলাকুলি করছেন। কেউবা গ্রুপ ছবি তুলছেন তার সঙ্গে, কেউবা সেলফি।

রোববার (২০ নভেম্বর) ভোরে মাটি ও মানুষের সঙ্গে তার মিশে যাওয়ার এমনই চিত্র দেখা গেল। সেই চিত্র কোনও গণমাধ্যমেও আসেনি। এসেছে তার চেয়েও বড় মাধ্যমে, ফেসবুকে। এ দিন সকালেই নিজ ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত ছবি পোস্ট করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তার ফেসবুকে ৫৭টি ছবি পোস্ট দেন। সেসব ছবিতে দেখা গেছে, তিনি হাত মেলাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আবার গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের কাঁধে হাত রাখছেন। মনোযোগী শ্রোতা হয়ে তাদের কথা শুনছেন। পথে হাঁটতে গিয়ে তার সঙ্গী হচ্ছেন তরুণ-বৃদ্ধ সবাই।

বুকে জড়িয়ে উষ্ণতার পরশ

হেঁটে হেঁটে গ্রামের মসজিদে পৌঁছে যান ওবায়দুল কাদের। এখানে খুব ভোরে কোরআন শরীফ পড়তে আসা শিশু-কিশোরদের সঙ্গেও তুলেছেন। গ্রামের কিশোরী-তরুণীরাও বাদ যায়নি তার ফ্রেম থেকে।

ভোরের কুয়াশা কেটে ঘড়ির কাঁটা যখন সকাল ৭টা, তখনই গ্রামের পথঘাট হেঁটেই নিজঘরে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। এরপরই ঢুঁ মেরেছেন অনলাইন দুনিয়ায়, ফেসবুকে। সেখানে ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘গুড মর্নিং, মাই সুইট ভিলেজ রাজাপুর’।

দুপুরের পরই ঢাকায় ফেরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘মানুষের মনের ভাষা বুঝতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে’।

এতিমদের পাশে

এটি তার সেই বক্তব্যের প্রতিফলন বলে ফেসবুকে এরই মধ্যে মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেন একজন ফেসবুক ফলোয়ার। গত ১২ ঘণ্টায় তার সেই ফেসবুক পোস্টে ২০ হাজার ‌‘লাইক’ এবং কয়েকশ’ মন্তব্য পড়েছে। সেই সঙ্গে পোস্টটি সাড়ে ৬শ’ বার শেয়ার হয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের এই পোস্টে প্রায় সবাই তাকে প্রশংসা করছেন।

Md Shamsuzzoha নামে একজন লিখেছেন, ‘ফাটা কেষ্ট দা মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এ ভাবে শুরু করে তার দিন, শুভ হোক তোমার শুভযাত্রা কেষ্ট দা...’

Noor Hussain Poil লিখেছেন, ‘ভাইয়া খুব ভালো লাগছে। এলাকার সব পরিচিত মানুষের পাশে আপনাকে দেখে। আল্লাহ আপনাকে সারাজীবন বাঁচিয়ে রাখুক, এইভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে।’

Imrul Shahed লিখেছেন, ‘সেদিন আপনার বাড়ির পাঠাগার দেখে আসলাম। ধন্যবাদ, এত সমৃদ্ধ একটি বই সম্ভার রাখার জন্য।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!