• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজীবের অবস্থা অপরিবর্তিত, জ্ঞান ফিরেছে রুনির


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৪, ২০১৮, ১২:৫৮ এএম
রাজীবের অবস্থা অপরিবর্তিত, জ্ঞান ফিরেছে রুনির

ঢাকা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অচেতন রাজীবের চোখে-মুখে পড়া পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে ১১ বছরের আবদুল­াহ। কিছুক্ষণ পর পর এসে মুখে দোয়া পড়ে ফুঁও দিচ্ছে শিশুটি। একটাই আশা, যদি ভাইয়ের জ্ঞান ফেরে।

লাইফ সাপোর্টে থাকার ৪৮ ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় বাসচাপায় হাত হারানো রাজীবের জীবনের আশা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হাল ছাড়ছেন না তার আত্মীয়-স্বজনরা। দোয়া-দরুদ আর ঝাড়-ফুঁকই তাদের শেষ ভরসা! ওদিকে অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে বাসের চাপায় পা থেঁতলানো রুনি আক্তারের। তার পা রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও আশা দেখছেন চিকিৎসকরা।

পটুয়াখালীর বাউফলের ছেলে রাজীব হোসেন রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রথম দুদিন চোখ খুলে কথা বলেছিলেন। এরপর থেকে নয় দিন ধরে আর চোখ খুলছেন না সরকারি তিতুমীর কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়া এই শিক্ষার্থী। রাজীবের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘রাজীবের মস্তিষ্কের অবস্থা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

হঠাৎ করে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজীবের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর দেখা দেয়। শুক্রবারও জ্বর ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা। রাজীবের শরীরের এই অবনতির কারণ জানতে চাইছেন তার বড় খালা জাহানারা বেগম। একই সঙ্গে আগামীকাল রোববার দুর্ঘটনায় দায়ী দুই বাসচালককে যেন জামিন না দেওয়া হয়- এ আহ্বান জানান তিনি।

রাজীবের ছোটভাই মেহেদি (১২) ও আবদুল­াহ (১১) হাসপাতালের বারান্দায় বসে ভাইয়ের জন্য অনবরত দোয়া পড়ে যাচ্ছে। বড় খালার সঙ্গে ছোট খালা লিপিও শুক্রবার বিশেষ প্রার্থনা করেন। দেশবাসীর কাছেও রাজীবের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।

গত ৩ এপ্রিল দুই বাসের চাপাচাপিতে পড়ে রাজধানীর পান্থপথের সার্ক ফোয়ারার কাছে রাজীবের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিআরটিসি বাসে থাকা রাজীবকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস চাপা দিলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাথায় প্রচণ্ড আঘাতও পায় সে। কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে নিজের ও ছোট দুই ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাত রাজীব।

এমবিএ শিক্ষার্থী রুনির জ্ঞান ফিরেছে : রাজধানীর ফার্মগেটে নিউ ভিশন বাসের চাপে পড়ে গত বুধবার সকালে ডান পা থেঁতলে যাওয়া রুনি আক্তারের (২৭) জ্ঞান ফিরেছে। ইবনে সিনা হাসপাতালে গত বুধবার রাতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে রুনির জ্ঞান ছিল না।

অস্ত্রোপচার দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইদ্রিস আলী শুক্রবার বলেন, ‘রোগী আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন। ডান পায়ের চামড়ার বেশিরভাগ ছিঁড়ে যাওয়ায় অবস্থা ছিল গুরুতর। তবে পা রক্ষা করা সম্ভব হবে আশা করছি।’ তবে রুনিকে কয়েক মাস হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন অপর এক চিকিৎসক। এমবিএ’র শিক্ষার্থী রুনি র‌্যাংকস প্রপার্টিজ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!