• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাডার ক্রয় মামলা, সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন খারিজ


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ২০, ২০১৭, ১১:৪৯ এএম
রাডার ক্রয় মামলা, সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন খারিজ

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মাদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগ দুদকের আপিল খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। পরে তিনি জানান, রাডারক্রয় মামলাটি বিচারিক আদালতে চলছে। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে এ মামলায় নতুন করে সাক্ষী নেয়ার আর কোনো সুযোগ থাকলো না।

এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর রাডার দুর্নীতি ক্রয় সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়ে ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত। গত ২৪ নভেম্বর এরশাদের রাডার দুর্নীতি ক্রয় সংক্রান্ত মামলায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি ও ৩১ মার্চের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ ।

পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন এই মামলার আসামি বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান সুলতান মাহমুদ।
 
এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন। মামলাটি কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনে। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!