• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাতভর ২৮ বস্তা মরিচের পেছনে ছুটলো ৪ থানার পুলিশ!


জেলা প্রতিনিধি মে ২৪, ২০১৭, ১২:৪৫ পিএম
রাতভর ২৮ বস্তা মরিচের পেছনে ছুটলো ৪ থানার পুলিশ!

লালমনিরহাট : অবৈধ্য পণ্যের চালান আসছে, এমন খবরের ভিত্তিতে রাতে অভিযানে নামে লালমনিরহাটের চার থানার পুলিশ। এর মধ্যেই একটি পিকআপ ভ্যান লালমনিরহাটে পুলিশের সিগন্যান অমান্য করে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। তাই বেড়ে যায় সন্দেহটা। অবশেষে রাতভর কয়েক থানার পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে পিকআপ ভ্যানটি ধরতে সক্ষম হয়। 

আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায় বলেন, সোমবার রাতে নীলফামারী থেকে তিস্তা ব্যারেজ হয়ে আসার সময় বড়খাতা হাইওয়ে পুলিশ একটি পণ্য বোঝাই পিকআপকে সিগন্যাল দেন। কিন্তু সেই সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে পিকআপটি পালিয়ে যায়। 

সিগন্যাল অমান্য করায় পুলিশের ধারণা হয় গাড়িটিতে অবৈধ্য পণ্যের চালান রয়েছে। এমন সন্দেহে ওই গাড়িটি আটক করতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের সহায়তা নেয় হাইওয়ে পুলিশ। হাতীবান্ধা থানা পুলিশ অবশ্য সেটি আটক করতে ব্যর্থ হয়ে কালীগঞ্জ থানার সহায়তা চায়। 

পরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের থানার সামনে বেড়িকেট দিয়েও গাড়িটি আটক করতে পারেননি। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় একাধিক বেড়িকেট দিলেও বেপড়োয়া ও ক্ষিপ্তগতিতে পিকআপটি পালিয়ে যায়। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ গাড়িটির পিছু নিয়ে আদিতমারী থানা পুলিশের সহায়তা চায়। 

খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ থানার গেটে বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আড়াআড়ি করে রেখে পথরোধ করে। পথ না পেয়ে আদিতমারী থানার পাশে গর্তে পিকআপটি ফেলে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী চালক। 

অভিযান শেষে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী থানা পুলিশ যৌথভাবে পিকআপটি তল্লাশি চালিয়ে ২৮ বস্তা কাঁচামরিচ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। 

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, সিগন্যাল অমান্য করে বেপড়োয়া গতিতে আসা গাড়ির চালক ও সহকারীকে খুঁজছে পুলিশ। তাদের পেলে পুরো রহস্য জানা যাবে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটির বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। সে কারণেই হয়তো মামলা থেকে বাঁচতে এমন কাজ করেছে চালক। 

সোনালীনিউজ/ এসও

Wordbridge School
Link copied!