• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাতে ২০ দলের শীর্ষনেতাদের বৈঠক


নিজস্ব প্রতিনিধি নভেম্বর ১৫, ২০১৭, ১১:৪৫ এএম
রাতে ২০ দলের শীর্ষনেতাদের বৈঠক

ঢাকা: ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বৈঠকে বসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে আগামী নির্বাচন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসনে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানা গেছে।

এরই রাতে গুলশানে অনুষ্ঠেয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেইরানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও বৈঠকে লেবার পার্টির কোনো অংশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সংশ্লিষ্টরা মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর রাতে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টিতে ভাঙন হয়। পাল্টাপাল্টি ঘোষণা দিয়ে দলের চেয়ারম্যান ইরান বহিষ্কার করেন মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীকে। পরে হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও তার অনুসারীরা আবার ইরানকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। হামদুল্লাহ তার অংশের চেয়ারম্যান করেন দলের সহ-সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরীকে। ভেঙে যাওয়া দলটির দুই অংশই বিএনপি জোটের শরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিল। 

নতুন করে দুই দলে সমস্যা তৈরি হয় মঙ্গলবার জোটের বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তে। বিএনপির দফতর থেকে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের বুধবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে আসার আমন্ত্রণ দেয়া হয়। এই আমন্ত্রণের তালিকা থেকে বাদ পড়ে লেবার পার্টি।

লেবার পার্টি (মেহেদী) অংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব ও জোটের সমন্বয়ক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাননি। তিনি বলেছেন, জোটে আলোচনা হবে, এরপর লেবার পার্টির বিষয়ে খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত দেবেন।’

মেহেদী আরো বলেন, ‘আমি ও পার্টির চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জোটবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।’

লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, ‘সাবেক চেয়ারম্যান ইরানকে বহিষ্কার করা হয়েছে গঠনতান্ত্রিকভাবেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর প্রমাণ আমরা হাতে পেয়েছি। এই তথ্যপ্রমাণগুলো জোটের শীর্ষনেতাদের সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।’

শামসুদ্দিন পারভেজ মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আরও বলেন, ‘‘বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইরান। এ তথ্যও সবাইকে জানিয়েছি। এছাড়াও তিনি জোটের একটি শরিক দলের নেতাকে ফোনে বলেছেন, ‘বিএনপি জোট করে কী হবে, দেখি বার্গেনিং করে, আসেন।’ তিনি এই ছবি ফেসবুকেও দিয়েছেন।’’

এদিকে, লেবার পার্টির ইরানবিরোধী অংশটির তথ্যপ্রমাণ অভিযোগ হাতে পেয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে গত ৭ নভেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকও করে ইরানবিরোধী অংশটির নেতারা। বুধবার রাতের বৈঠকে শরিক নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও। তিনি বলেন, ‘আমি বাসায়। বুধবারের বৈঠকের কোনো আমন্ত্রণ এখনো পাইনি।’ আমন্ত্রণ না পেলেও যাবেন কিনা— জানতে চাইলে ইরান বলেন, ‘এসব নিয়ে এখন ভাবছি না।’

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইরান বলেন, ‘গত ২ নভেম্বর রাস্তায় ফার্নিচারের এক দোকানে নেজামী সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ওই সময় কুশল বিনিময় হয়েছে, ভালোমন্দ জানতে চেয়েছি। এটা তো খুব স্বাভাবিক। সরকারের অনেক মন্ত্রীদের সঙ্গেও তো বিএনপির অনেকের দাওয়াতে দেখা হয়, একসঙ্গে খাবার খান। মোসাদের সঙ্গেও তো ছবি দেখা গেছে। এগুলোর কী হবে?’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!