• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রানা প্লাজা: মামলার অগ্রগতি কতদূর?


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৪, ২০১৮, ১০:১১ এএম
রানা প্লাজা: মামলার অগ্রগতি কতদূর?

ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজা ধসের ৫ বছরেও হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুই মামলায় কোন কুল কিনারা হয়নি। এজন্য আইনের জটিলতার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে।

এছাড়াও আদালতে রানার পরিবারসহ ৪১ আসামির বিরুদ্ধে ঝুলে আছে আরও ৩টি মামলা। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছেন আগামী বছরের মধ্যে মামলাগুলো যথেষ্ট অগ্রগতি হবে।

সাভারের রানা প্লাজা ধসের ওই ঘটনায় সেদিন প্রাণ হারায় ১ হাজার ১৩৬জন। আহত ও পঙ্গু হয় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। এরপর ভবন মালিক সোহেল রানা, তার পরিবারের সদস্যসহ বেশকিছু আসামির বিরুদ্ধে মোট মামলা দায়ের হয় ৭টি।

এরমধ্যে সাভার থানায় সোহেল রানাসহ ৪১ জনকে আসামি করে প্রথমেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। ২০১৫ সালের ২৬শে এপ্রিল এ মামলায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দেয়া হয় অভিযোগপত্র। পরে মামলার দুই আসামি মারা গেলে বাকিদের বিরুদ্ধে পরের বছর ১৮ই জুলাই অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত একজনেরও সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।

ইমারত নির্মাণ আইন না মানার অপরাধে আরো একটি মামলা করে রাজউক। ২০১৫ সালের ২৬শে এপ্রিল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয় সিআইডি। পরের বছর ১৬ই জুন সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলেও, এ মামলাটিতেও কোন সাক্ষ্যগ্রহণ করতে পারেনি আদালত।

এ দুই মামলার অধিকাংশ আসামিই উচ্চ আদালতে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করায় মামলাগুলোর কার্যক্রম থেমে আছে বলে জানান রষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, আমাদের প্রসিকিউশন টিম এই মামলা নিয়ে অত্যন্ত তৎপর। মামলাটি কিভাবে করবো সেজন্য সবসময় প্রস্তুতি থাকে আমাদের। আমরা আশা করছি, আগামী তারিখেই সাক্ষী নিতে পারবো।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদও দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তির আশা করছেন।

তিনি বলেন, বিচারও হচ্ছে না, জামিনও হচ্ছে না। আমি মনে করি, আমার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বিচার শুরু হয়ে গেলে, নিষ্পত্তি হয়ে গেলে আমার যা হয় হবে। রাষ্ট্রপক্ষ হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবেই এই মামলাটা করছে না, যদি রানা খালাস হয়ে যায়।

হত্যা ও ইমারত নির্মাণের দুই মামলা ছাড়াও আসামি রানাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৫ই জুন একটি মামলা করে দুদক। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

এছাড়াও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ৩১শে ডিসেম্বর আরো একটি মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। একই অপরাধে রানার বাবা আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা রয়েছে, যা ঢাকার ৭নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।

এতো মামলার ভিড়ে একটুখানি আশার কথা হলো এখন পর্যন্ত দুদকের দুই মামলায় সোহেল রানা ও তার মাকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার দু'টি বিশেষ জজ আদালত। তবে রানা ছাড়া সব আসামিই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!