• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রানাকে কেন জামিন নয় জানতে চায় হাইকোর্ট


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৮, ২০১৭, ০১:০৮ পিএম
রানাকে কেন জামিন নয় জানতে চায় হাইকোর্ট

ঢাকা: টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের এমপি  আমানুর রহমান খান রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জামিন আবেদন শুনানি শেষে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামি পক্ষের শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

“আমানুর রহমান খান রানার জামিনের বিষয়ে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের বিস্তারিত শুনানি শেষ করার পর আদেশের জন্য আজ (১৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। তাকে যে দল থেকে (আওয়ামী লীগ) বহিষ্কার করা হেয়েছে শুনানিতে সেটিও তুলে ধরা হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত ডে আফটার টুমোরো আদেশের জন্য রেখেছেন।”

এর আগে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার‌্যতালিকা থেকে আবারও বাদ করে(আউট অব লিস্ট) দেন।

তার আগে একই বছর ২৮ নভেম্বরও সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রানার জামিন আবেদন কার‌্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন।

২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমানুর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এমপি রানা বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

পরে রানা জামিন আবেদন করলে ২৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন নাকচ করে আদেশ দেন। বিচারিক নিন্ম আদালতের জামিন খারিজের বিরুদ্ধে রানার পক্ষে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।

এদিকে টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার জেলা কমিটির সভায় ওই চারজনের সদস‌্য পদ বাতিলের এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধো হত্যাকারীরা কখনোই আওয়ামী লীগে থাকতে পারে না; তাই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সংসদ সদস্য রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনও ওই হত‌্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!