• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাবির গ্রাজুয়েটদের আশায় এবারও গুড়েবালি


রাবি প্রতিনিধি মার্চ ১৩, ২০১৮, ০৬:১৪ পিএম
রাবির গ্রাজুয়েটদের আশায় এবারও গুড়েবালি

রাবি: গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১০ম সমাবর্তনের তারিখ নির্ধারণের পরও নানা জল্পনা কল্পনার পর সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটার কথা ছিল চলতি মাসের ২৪ তারিখ। কিন্তু সে আশাও এবার গুড়ে বালি। এবারের সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রীর। কিন্তু তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও স্থগিত হয়েছে এই সমাবর্তন ।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার। তবে সমাবর্তন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে খুশি নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি শিক্ষাজীবনের শেষ সাটিফিকেট রাষ্ট্রপতির হাত থেকে নিব।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সদয় সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি তার প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল।

এদিকে ১০ম সমাবর্তন স্থগিত হওয়ায় আনন্দিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফারসী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তারেক হোসেন টুটুল বলেন, এটি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের সংবাদ। আমরা চাই আচার্যের কাছ থেকে সনদ নিতে। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় যদি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে সমাবর্তন করতে পারে তাহলে দেশের ২য় বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয় পারবে না কেন। আমি চায় আচার্যের উপস্থিতিতে যেন সমাবর্তন হয়। যেহেতু সমাবর্তনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে ফলে আচার্যের সম্মতিতে যেন পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

ফলিত রসায়ন বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের অনুপ সরাকর বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ১০ম সমাবর্তনের অপেক্ষায় আছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আসার মাধ্যমেই এই দীর্ঘ অপেক্ষা স্বার্থক হবে’।

এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, সমাবর্তনের পরবর্তী তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করবেন এই বিষয়টি জানার পর সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে।  সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে শিক্ষামন্ত্রীর সময় একের পর এক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেই চলছে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, তার কাছ থেকে সমার্বতনের সার্টিফিকেট নিতে চাই না।

উল্লেখ্য, এবারের সমাবর্তনে মোট ৬ হাজার ৯ জন গ্রাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!