• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাম রহিমের আস্তানায় ৬০০ কঙ্কাল!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭, ০৭:৩৮ পিএম
রাম রহিমের আস্তানায় ৬০০ কঙ্কাল!

ঢাকা: ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কথিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের আস্তানা থেকে এবার ৬০০ কঙ্কাল উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)।

এসআইটি গণমাধ্যমকে জানান, দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ধর্ম গুরুর ডেরায় প্রায় ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা দিয়ে রাখার অভিযোগ পেয়েছেন।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি হরিয়ানার সিরসায় কথিত ধর্মগুরুর ডেরার ব্যবস্থাপক বিপাসনা ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পি আর নাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি)। জিজ্ঞাসাবাদে পি আর নাইন ওই ৬০০ কঙ্কালের তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া এর আগে ডেরায় থাকা কমপক্ষে ২ হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন এক সাধ্বী।

গত ২৫ আগস্ট দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর তাকে রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ধর্মগুরুর সমর্থকেরা পঞ্চকুলা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে ৩১ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হন।

পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন সিবিআই আদালত। এদিকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি ও সাবেক ডেরা ব্যবস্থাপক রণজিৎ সিং হত্যা মামলার বিচার চলছে।

জিজ্ঞাসাবাদে পি আর নাইন আরো জানায়, ডেরায় হত্যার পর প্রায় ৬০০ কঙ্কাল মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। এমনকি জার্মানির এক বিজ্ঞানীর পরামর্শে মাটিচাপা দেয়া ওই কঙ্কালগুলোর ওপর গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশেষ তদন্ত দলকে দেয়া জবানবন্দির স্বপক্ষে পি আর নাইন ও বিপাসনা যথেষ্ট প্রমাণও উপস্থাপন করেছেন।

কথিত ওই ধর্ম গুরুর অনুসারী এক নারী অভিযোগ করেছেন, তিনি রাম রহিমের ভক্ত থাকায় ডেরায় বাবার সেবার জন্য সন্তানকে পাঠিয়ে গত ১২ বছর ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। সেবার জন্য সন্তানকে ডেরায় পাঠাতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ডেরা কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞাপন দেখেই তিনি তার ২ মাস বয়সী সন্তানকে ডেরায় রেখে এসেছিলেন।

এদিকে রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হরিয়ানায় সিরসার ধর্মগুরুর ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযানের শুরুর দিকে ওই ডেরা থেকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করা হয়। ডেরার ভেতরে সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। তিনি সেখানে যাতায়াতের জন্যই দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিলেন। ডেরার গুফা থেকে সাধ্বী হোস্টেল পর্যন্ত একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়।

এছাড়া তার ডেরায় ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল আছে। তার নিচে গোপন সেক্স কেভ বা যৌন গুহার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাম রহিম সইমিং পুলেল নিচেই ওই যৌন গুহা গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে নারীদের নিয়ে তিনি অনৈতিক কার্যকলাপ করতেন। রাম রহিমের ডেরায় শত শত আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ও ভিডিও চিত্র সাংবাদিকের বিশাল একটি দল অভিযান চালিয়ে এই গুহার সন্ধান পায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!