• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাম রহিমের সন্তানের মা হতে চেয়েছিল হানিপ্রীত!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭, ১১:৪০ পিএম
রাম রহিমের সন্তানের মা হতে চেয়েছিল হানিপ্রীত!

ফাইল ফটো

ঢাকা: দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কাররাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের কথিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের কাছে সন্তান চেয়েছিলেন তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীত!

সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন গুরদাস সিং তুর নামে রাম রহিমের এক অনুসারী। তিনি বলেন, রাম রহিমের নিজের সন্তানের বাবা বানাতে এবং সেই সন্তানকে ডেরার সাচা সৌধার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী বানাতে চেয়েছিলেন হানিপ্রীত।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে কথিত ধর্মগুরুর পালিত কন্যা হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত দাবি করেন, সবার কাছে হানিপ্রীতকে নিজের পালিত কন্যা পরিচয় করিয়ে দিলেও রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তিনি আরো বলেন, ডেরার ভেতর রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের সন্তান জসমিত সিং ইনসানকে ২০০৭ সালে ডেরার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন রাম রহিম। কিন্তু হানিপ্রীতের কথায় শেষে মন পরিবর্তন করেন কথিত ধর্মগুরু।

রাম রহিমের বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন গুরুদাস সিং তুর। তিনি ডেরার একজন সাবেক অনুসারী। গুরুদাস সিং তুর বলেছেন, হানিপ্রীত ও রাম রহিম সন্তান চেয়েছিলেন। তবে কার ঔরসে সেই সন্তানের জন্ম, তা গোপন রাখার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। মূলত ডেরার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী নির্বাচন করতেই হানিপ্রীত সন্তান চেয়েছিলেন।

গুরমিত সিং তুর ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘জসমিত সিং ইনসানের বিপক্ষে ছিলেন রাম রহিম। তিনি জসমিতকে ডেরাপ্রধান বানাতে আগ্রহী ছিলেন না। ডেরার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন হানিপ্রীত। তিনি রাম রহিমের ঔরসে সন্তান ধারণ করতে চেয়েছিলেন। হানিপ্রীত ও রাম রহিম—দুজনই অনাগত সন্তানকে ডেরার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী বানাতে চেয়েছিলেন। তাদের পরিকল্পনা এমনই ছিল।’

গুরুদাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হানিপ্রীতের পরিকল্পনা ছিল রাম রহিমের সঙ্গে শারীরকি মিলনে যে সন্তান ভূমিষ্ট হবে তাকে হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত’র সন্তানের বাবা হিসেবে দেখানোর আনুষ্ঠানিকভাবে পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের আগেই তা ভেস্তে যায়। কারণ হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান বিশ্বাস গুপ্ত।

এর আগে এক সাধ্বী জানিয়েছিলেন, ডেরায় থাকা কমপক্ষে দুই হাজার নারীকে ধর্ষণ করেছেন রাম রহিম। রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে অভিযানের শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করা হয়। ডেরার ভেতর সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। এজন্য দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই ‘যৌন গুহা’ গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান রাম রহিম। গোপন গুহায় নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাতেন তিনি।

গত ২৫ আগস্ট দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাম রহিম সিংহকে দোষি সাব্যস্ত করে ভারতের একটি আদালত। পরে ২৮ আগস্ট রাম রহিমকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন সিবিআই আদালত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!