• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার লক্ষ্য উজ্জ্বল বৈশ্বিক ভাবমূর্তি


ক্রীড়া ডেস্ক মে ২৯, ২০১৮, ০২:১৬ পিএম
রাশিয়ার লক্ষ্য উজ্জ্বল বৈশ্বিক ভাবমূর্তি

ঢাকা : ‘রাশিয়া শত্রুতাপরায়ণ রাষ্ট্র নয়, বরং বন্ধুসুলভ, অতিথি-পরায়ণ এবং সবার জন্য উন্মুক্ত।’ এই চিন্তাকে সামনে রেখেই বিশ্বকাপ ফুটবলে বিশ্বের সবাইকে স্বাগত জানাতে দুই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন রাশিয়ানরা। বিদেশিদের হাসি আর বিনয়ের মিশেলে আতিথ্য দিতে প্রস্তুত দেশটি। দেখিয়ে দিতে চায় সোভিয়েত যুগ থেকে কতটা উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে রাশিয়া। গতানুগতিক ধারণা পাল্টে দিতে তোড়জোড় এখন ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের। সবকিছুর পেছনে লক্ষ্য একটাই- সারা বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা।

রাশিয়ার আগ্রাসী ভাবমূর্তি ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের কর্মকাণ্ডে বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক এ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ক্রিমিয়া দখল, মিসাইল হামলায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস বিমান ধ্বংস, অলিম্পিক ডোপিং কেলেঙ্কারি, ২০১৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিং এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে রাশিয়ার সাবেক গোয়েন্দাকে বিষাক্ত গ্যাস দিয়ে হত্যাচেষ্টার নানাবিধ অনৈতিক কাণ্ডে ত্যক্ত-বিরক্ত পুরো দুনিয়া।

বিশ্ববাসীর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও দিন দিন বাড়ছে, যে কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবারসহ ব্রিটেন, আইসল্যান্ড ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা বিশ্বকাপ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপকে তারা পুতিনের বিশ্বকাপ হিসেবেই দেখছেন। ফুটবল আসরের চেয়ে পুতিন সরকারের সঙ্গে শত্রুতাকে বড় করে দেখছেন। এমন একের পর এক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমস্যায় বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে দেখা দিয়েছে ফাটল।

আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিশ্ববাসীর তথা পশ্চিমা বিশ্বের সামনে নিজেদের ভাবমূর্তি উন্নয়নে উঠেপড়ে লাগে রাশিয়া। সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগটা কাজে লাগাতে দৃঢ় প্রত্যয়ী তারা। জার্মানির সাবেক একনায়ক এডলফ হিটলার যেমনটা করেছিল ১৯৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন করে। পুতিন শুধু বৈশ্বিকভাবে ‘খলনায়ক’ হিসেবে পরিচিত নন, দেশের ভেতরেও সমালোচিত। কারণ প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বদ্বী অ্যালেক্সি নাভালনিকে গ্রেপ্তার করে সমস্যাটা আরো বাড়িয়ে তুলেছেন। বিশ্বকাপের মাধ্যমে সাধারণ রুশ নাগরিকদের মন কাড়তেও মরিয়া পুতিন।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বেশি করে পশ্চিমা বিশ্বের পর্যটক টানতে চাইছে রাশিয়া। ১১ বিলিয়ন ডলারের খরুচে বিশ্বকাপ যাতে দেশের অর্থনীতিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দিতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ চলাকালে প্রায় ১ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটক যাবেন রাশিয়ার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও মস্কোর শহুরে সৌন্দর্য উপভোগ করার উদ্দেশ্যে। তাদের মন ভুলাতে নতুন রূপে সেজেছে রাশিয়ান শহরগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা।

নতুন বিমানবন্দর, সড়ক ও নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করে রুশ সরকার। যাতে পশ্চিমা পর্যটকরা রাজনীতি সমস্যা পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ দেখতে আসেন। পর্যটকদের যাতে রাশিয়ান ভাষা ও পথনির্দেশনায় সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর দিয়েছে সরকার। ইংরেজি ভাষায় দক্ষ কয়েক শ মস্কো ট্রান্সজিট স্টাফ নিয়োগ দেবে পর্যটকদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!